চলতি বছরের এপিলে সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যকার সংঘাত শুরু হওয়ার পর ১০ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৯ জন মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া চার মাস যুদ্ধে দুই গোষ্ঠীর সংঘাত কমলেও খাদ্য এবং যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে সুদানিরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুদানের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর দেশটির রাজধানী খার্তুম ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া দারফুরে জাতিগত হামলার ঘটনা ঘটছে। সব মিলিয়ে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে সুদানকে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, সুদানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেখানে চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব রয়েছে। এছাড়া মাঠে কৃষকদের ফসল রোপণের সময় ফুরিয়ে আসছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা সুদান ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে, তাদের অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আইওএম জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান অনুসারে দেশটির ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৫ জন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এছাড়া যারা রাজধানী খার্তুম, দারফুর ও কর্ডোফান অঞ্চলের শহরগুলো রয়ে গেছেন, তাদের ব্যাপক লুটপাটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এমনিতেই বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিঘ্ন ঘটনায় মানবেতর অবস্থায় রয়েছেন তারা।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহতদের অনেকের দেহাবশেষ সংগ্রহ, শনাক্ত বা কবর দেওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের কর্মকর্তা লায়লা বেকার জানান, সুদানে যৌন নির্যাতনের খবর ৫০ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে গত ১৩ আগস্ট থেকে সুদানের বড় অংশ ব্ল্যাকআউটে ভুগছে। এর ফলে দেশটির মোবাইল নেটওয়ার্ক অফলাইনে চলে গেছে।