জ্বালানি তেলের মূল্য কমায় বাস ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যে দুই দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে অথচ বাস ও পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি।
এর আগেও জ্বালানি তেলের মুল্য ৩ টাকা কমানোর পরে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা হারে কমিয়ে বাস ভাড়ার তালিকা পুনঃনির্ধারণ করা হলেও যাত্রী সাধারণ এই ৩ পয়সা কমানোর সুফল পাইনি। তখন থেকে সরকার পরিবহন মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এহেন ছোট ছোট অঙ্কের হারে জ্বালানি তেলের মুল্য কমানো হচ্ছে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস, লঞ্চ ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে, লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকছে পেট্রোল, অকটেনের দাম। নতুন এই দর আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
রবিবার (৩১ মার্চ) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।