শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়

আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ০৭:৩৩ এএম

মনিটাইজেসনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই অর্থ উপার্জন করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরনো ইউটিউব। এ ছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ব্লগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েশনের মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন অনেকে। যেই সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। দুই প্ল্যাটফরমে ভিডিওর সংখ্যা সব থেকে বেশি ইউটিউব এবং ফেসবুক। ইউটিউবের মালিক হলো গুগল। সেখানে ফেসবুকের কার্যভার রয়েছে মেটার দখলে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় করা যায়। যেখানে ইউটিউবে ২০০০ ডলারের বেশি আয় করা যায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে। ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেসন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি। অপরদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেসন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন- ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পনসরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।

ইউটিউব ও ফেসবুকে মনিটাইজেসন

ফেসবুকে প্রায় ১০,০০০ পেজ লাইক এবং শেষ ৬০ দিনে ৩০,০০০ এক মিনিট ভিউ থাকলে চ্যানেল মনিটাইজেসন করা যায়। অন্যদিকে ইউটিউবে কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকলে মনিটাইজেসনের দরজা খুলে যায়।

একাধিক মাপকাঠিতে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডেটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। তবে জানলে অবাক হবেন, ফেসবুক এবং ইউটিউব ছাড়াও আরও একটি প্ল্যাটফরম রয়েছে, যা অনেক বেশি টাকা আয় করা যায়। আর এটি ইনস্টাগ্রাম নয়। প্ল্যাটফরমের নাম টিকটক, যা ভারতে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। লিঙ্কডিনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, টিকটক ক্রিয়েটররা বছরে ২,০০,০০০ ডলার আয় করেন। বর্তমানে অধিকাংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুক ও ইউটিউব দু’জায়গাতেই সক্রিয় থাকেন। দুই প্ল্যাটফরমেই নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে থাকেন তারা। ফলে আয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম থেকেও অ্যাডের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়। ফলে সেই প্ল্যাটফরমেও ক্রিয়েটরদের সংখ্যাও বেড়েই চলছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত