শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

মিল্টনের আশ্রম থেকে উদ্ধার সেলিমের পেটে কাটাছেঁড়ার দাগ

আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমকেন্দ্র থেকে মো. সেলিম মিয়া নামের একজনকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসেছে পরিবার। সেলিম মিয়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে। গত বুধবার তাকে বাড়িতে আনা হয়। সেলিম শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরিবার জানিয়েছে, উদ্ধারের পর সেলিমের পেটে কাটাছেঁড়ার দাগ পাওয়া গেছে। তাদের সন্দেহ, মিল্টন সমাদ্দার সেলিমের অঙ্গ খুলে নিয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে চিকিৎসককে দেখানো হবে।

সেলিমের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক ভারসম্যহীন। প্রায় ছয় মাস আগে সেলিম নিখোঁজ হন। গণমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রয়কেন্দ্রের খবর জানতে পেরে সেখানে গিয়ে সেলিমকে সনাক্ত করেন তার মা রাবিয়া খাতুন। পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়।

সেলিমের মা রাবিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো, কিন্তু তার শরীরে কোনো দাগ ছিলো না। পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে নির্যাতনের পর তার কোমড়ের দুই পাশে কাটাছেঁড়া করে কিডনি খুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। 

শনিবার দুপুরে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, লাল কাপড় পরিহিত কাউকে দেখলেই ভয়ে আঁতকে উঠছেন সেলিম মিয়া। ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না। কোমড়ের দুই পাশে কাটাছেঁড়ার দাগ রয়েছে। দাগগুলো এখনও শুকায়নি। সেলিমের অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫) বলেন, আমার দুইটা মেয়ে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছোট মেয়ে সোমাইয়া মনি সপ্তম শ্রেণিতে পড়লেখা করছে। পাগল হলেও তিনি আমার স্বামী। তার যে অবস্থা করেছে মনে হয় আমার মেয়েরা এতিম হয়ে যাবে।

বড়হিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক ভূঞা মিলন বলেন, এমন একটি খবর শুনে অসুস্থ সেলিমকে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরিবারকে বলে এসেছি, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর কিডনি খুলে নেওয়ার বিষয়টি জানা যাবে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এমন একটি খবর পেয়ে বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে পরিবারের লোকজনকে তার চিকিৎসা ও কিছু পরীক্ষার করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর বুঝা যাবে ঘটনাটা কী। তারপর অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত