মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভনে খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতেন নিউটন

আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন নবীন খেলোয়াড়দের ভালো সুযোগ ও বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। এক ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগে নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র‍্যাব-১২ এর একটি অভিযানিক দল রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারের পরে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় নিউটনের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়শনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে এই কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাতও করিয়েছেন। এমনকি তিনি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করতেন। এমন ঘটনায় এক ভুক্তভোগী মামলা করলে আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে থাকেন।

মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত রফিক অ্যাসোসিয়েশনের গ্রেপ্তারকৃত অপর এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতেন। ভুক্তভোগী নারী দুই বছর যাবৎ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। খেলার প্রশিক্ষণকালীন নিউটন বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতেন। পরে ভুক্তভোগী প্র্যাকটিস শেষে চেঞ্জিং রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় গ্রেপ্তার নারী ভুক্তভোগীকে রুমের মধ্যে আটকে রেখে নিউটনকে ডেকে আনেন। পরে রফিকুল ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। আর গ্রেপ্তার নারী খেলোয়াড় রুমে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে ভিকটিমের নগ্ন ছবি ধারণ করে এবং কাউকে জানালে ভিকটিমের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। কিছুদিন পর ফের নিউটন ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত