যদি কারও ধমনির রক্তচাপ সবসময় ১৪০/৯০ মি.মি. পারদের বেশি থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধরা হয়।
রক্তচাপ মাপার সঠিক নিয়ম
রক্তচাপ মাপার ৩০ মিনিট আগে থেকে কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে না। প্রস্রাবের চাপ থাকলে অব্যশই প্রস্রাব করার পর রক্তচাপ মাপতে হবে।চেয়ারের পেছন দিকে হেলান দিয়ে ৫ মিনিট বসার পর রক্তচাপ মাপতে হবে।
রক্তচাপ মাপার সময় দুই পা মেঝেতে রেখে বসতে হবে।
হাত টেবিলের ওপর রাখতে হবে, যাতে করে বাহু বুক বরাবর থাকে। রক্তচাপ মাপার মেশিনের CUFF (কাফ)টি উন্মুক্ত বাহুতে (অর্থাৎ কোনো কাপড়ের ওপর নয়) হালকাভাবে বাঁধতে হবে।রক্তচাপ মাপার সময় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
লক্ষণ
সব হাইপারটেনশন রোগীদের লক্ষণ থাকে না এবং হাইপারটেনশনের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণও নেই। তবে সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো এ রোগীদের দেখা যায় :
মাথা ঘুরানো ও মাথাব্যথা।
ঘাড় ব্যথা
অস্থির লাগা
বমি বমি ভাব।
ঘুমের সমস্যা।
যেসব রোগীর কোনো লক্ষণ থাকে না, তাদের উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় ধরা পড়ে না এবং তারা কোনো ওষুধও গ্রহণ করে না। এরা অনেক সময় জরুরি অবস্থা, যেমন : স্ট্রোক, হার্টঅ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর অবস্থায় হাসপাতালে আসে এবং অনেক সময় বাঁচানো সম্ভব হয় না। তাই হাইপারটেনশনকে নীরব ঘাতকও বলা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ রোগীর কী কী
করণীয়
আলগা লবণ খাওয়া কমাতে হবে, রান্নায়ও কম লবণ দিতে হবে। ধূমপান পরিহার করতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করে শাকসবজি, ফল বেশি করে খেতে হবে। ব্যয়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে অথবা প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, বিশেষ করে মেদভুঁড়ি যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
চিন্তামুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
হাইপারটেনশনের জন্য কোন ওষুধটি খাবেন
উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে ফার্মেসি থেকে নিয়ে যে কোনো প্রেশারের ওষুধ খাওয়া ঠিক না। বাজারে অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়, কিন্তু কোনো ব্যক্তির শরীরে অন্য কোনো রোগ যেমন : হাঁপানি, ডায়াবেটিস, হার্ট বা কিডনির রোগ আছে কি না তার ওপর নির্ভর করে ও রোগীর জন্য সঠিক ওষুধ কোনটি। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের সঙ্গে মানানসই ওষুধ সেবন করা উচিত। ডায়াবেটিস, হার্ট বা কিডনির রোগ থাকলে সেই ওষুধগুলোও নিয়মিত সেবন করতে হবে।