মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ স্ক্যাবিস। রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। সঠিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ ছাড়া এই রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধ অত্যন্ত কঠিন।
স্ক্যাবিস কী
সারকোপটিস স্ক্যাবিয়াই (Sarcoptes scabiei) নামে এক ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ।
এর ফলে শরীরে চুলকানি ও দানা বা বিচির মতো র্যাশ ওঠা। যা স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, বিছানার চাদর, বালিশ ব্যবহার করলে এ রোগ হতে পারে।
ত্বকের অনান্য সমস্যা যেমন অ্যালার্জি, একজিমা বা ছত্রাক সংক্রমণ থেকে আলাদা।
সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এই মাইট (ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু) ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই জীবাণু মানুষের ত্বকের ঠিক নিচের অগভীর স্তরে বাস করে এবং দিনে দুই-তিনটা ডিম পাড়ে।
লক্ষণ
প্রথমেই এটি পানিযুক্ত দানা বা বিচি হয় এবং যখন এটি চুলকানো হয় তখনই এটি দ্রুত শরীরে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে যায়।
রাতের চুলকানি বাড়ে
ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে একজন থেকে অন্যজন আক্রান্ত হয়।
আঙুলের ফাঁকে, ত্বকের ভাঁজে, বুকে-পিঠে, বগলে, যৌনাঙ্গে
বা এর আশপাশে, নাভি ও নাভির চারদিকে ছোট ছোট দানা বা বিচি দেখা দেয়; এছাড়াও সমস্ত শরীরে দেখা দিতে পারে।
নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে ঘাড়, মাথার তালু, মুখ, হাতের তালু ও পায়ের পাতার নিচেও হয়ে থাকে।
অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে ইনফেকশন যেমন পুঁজ বা ব্যথাও অনুভূত হতে পারে।
করণীয়
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে সবার চিকিৎসা নেওয়া।
আক্রান্ত ব্যক্তির জামা-কাপড়, বিচানার চাদর, বালিশের কাভার, আন্ডার গার্মেন্টস-সহ একত্রে গরম পানিতে ভিজিয়ে, রোদে শুকানো।
আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস অন্যরা ব্যবহার না করা।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ব্যবহার পরিহার করা।
চিকিৎসা
স্ক্যাবিস হলে পরিবারের সবার চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
সবার বয়স এবং ওজন অনুযায়ী আলাদা আলাদা ওষুধ সেবন করতে হয়। পারমিথিন ৫% ক্রিম এবং লোশন ব্যবহার করা। মনোসালফিরাম সলিশন (গড়হড়ংঁষভরৎধস) মাখা। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।