বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ঈদের পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ০২:০১ এএম

কোরবানির ঈদের পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আর থাকছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘যোগাযোগ উৎসব’ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের তো আসলে শিখনফল অর্জনের জন্য কিছু শিক্ষা কর্মদিবস সেটি নির্দিষ্ট করতে হয় বছরব্যাপী। যেহেতু আমাদের অনেকগুলো পড়া পড়াতে পারেনি, সেজন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এখন পর্যন্ত শনিবার (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খোলা আছে। তবে সেটা আসলে সাময়িক একটি প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে যদি পরিপূর্ণ একটি চিত্র পাওয়া যায় তাহলে ঈদুল আজহা পরের সময়ে তখন হয়তো সেটা থাকবে না।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড়ের একটা প্রকোপ আছে এবং বন্যা ও অন্যান্য অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ... যদি হয় তখন সে সময় কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকবে। তখন বন্ধ থাকলে শিখনফল অর্জনটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। শনিবার খোলা রাখাটা প্রত্যাশিত নয়। যেহেতু কিছু দিন নষ্ট হয়েছে...। আমরা আশা করছি যে সেটা থাকবে না।’

এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার সঙ্গে শিল্প ও অর্থনীতির সম্পর্ক সাধনের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গীকার থেকে বলছি, উন্নয়ন হয়েছে দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান। এডুকেশনের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোনমির মাধ্যমে আমরা এমপ্লয়মেন্টের দিকে যাব।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষার্থীরা কীভাবে কর্মজীবনে সফলতা পাবে, কীভাবে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়বে, কীভাবে তারা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবে এই বিষয়ে অ্যালামনাইদের একটা গুরু দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল নেওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে উৎসাহিত করতে হবে, যোগাযোগ সক্ষমতায় উন্নত করতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অল্প সংখ্যক সরকারি চাকরির যে হাতছানি, সেটার দিকে শিক্ষার্থীদের যে মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে, এটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রলিং হচ্ছে। লাইব্রেরি শুধু সিভিল সার্ভিসের চাকরির প্রস্তুতির জায়গা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যের বাইরেও গবেষণাধর্মী থেকে শুরু করে অনেক কিছুরই জ্ঞান আহরণ ও চর্চার জায়গা। সেই মানসিকতার জায়গা তৈরি হতে হবে।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত