রংপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া গঞ্জিপুর চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে আরও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, তারাগঞ্জ উপজেলার বসুনিয়া হাজিপাড়া গ্রামের মেহেরুল ইসলাম (৩৫) সে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত। অপর দুজন হলেন, নীলফামরীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী গ্রামের আমিনুদ্দিনের মেয়ে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) রিমু আক্তার (২২), ও একই উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গনেশের বাজার এলাকার মৃত কেশব চন্দ্র সরকারের মেয়ে দিবা রানী সরকার (৪০), তিনি কিশোরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক। তারা সকলেই সিএনজির যাত্রী ছিলেন। তবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষাদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি যাত্রী বাস এবং রংপুরের পাগলাপীর থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি সিএনজিচালিতা অটোরিকশা খলেয়া গঞ্জিপুর চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় পৌঁছলে দুটি যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং বাসটি খাদে পড়ে যায়। অটোরিকশায় থাকা মেহেরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় বাসের হেলপারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথিমধ্যেই দিবারানী সরকার ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমু আক্তার মারা যায়।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুমুর রহমান দেশ রূপান্তরকে জানান, যাত্রীবাহীবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজন মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, বাস ও সিএনজি তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ আটক করেছে।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শরীফুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে জানান, বাস ও সিএনজি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।