শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

রেকর্ড-মুকুট ছাপিয়ে সম্পর্কের উষ্ণতা ছড়ালেন কাইলি-রেগান

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম

এটা হয়তো গা শিড়শিড় করা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে ওই সময়টুকু খুবই দুর্দান্ত। ‘খুব বিশেষ’-এ শব্দ দুটো দিয়েই মুহূর্তটিকে বর্ণনা করেন অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু কাইলি ম্যাককিয়ন। মঙ্গলবার নারীদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সবার আগে দেয়াল ছোঁয়ার পর কেইলি তার পাশে থাকা রেগান স্মিথকে খুঁজে নেন। যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিদ্বন্দ্বীকে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন নিমিষেই।

কাইলি বলেন, ‘সাঁতার শেষ হওয়ার পর আমাদের একটি বিশেষ মুহূর্ত কেটেছে। আমরা কৃতজ্ঞতা বিনিময় করেছি। কেননা তিনি না থাকলে আজ আমি এই পর্যায়ে কখনোই আসতে পারতাম না।’ বিষয়টি আসলেই তেমন। সাঁতারের জগতে দুই পাওয়ারহাউজ যুক্তরাষ্ট্র আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে আসছে আগে থেকেই। আর ইভেন্টটি যখন নারীদের ব্যাকস্ট্রোক তখন কাইলি ও রেগানের দ্বৈরথ যেন ফুটবলে মেসি-রোনালদোর মতোই টান টান উত্তেজনার।

নিজের গড়া অলিম্পিকে রেকর্ড ভেঙে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে স্বর্ণ জেতার পর কেইলি ম্যাকয়েন

এবারের প্রতিযোগিতাও হতাশ করেনি। নিজেরই গড়া অলিম্পিক রেকর্ডটি ভেঙে ৫৭.৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে টোকিও অলিম্পিকের মতো কাইলি পিছে ফেলেছেন রেগানকে। রৌপ্যজেতা রেগানের লেগেছে ৫৭.৬৬ সেকেন্ড। রেগানের স্বদেশী ক্যাথেরিন বারকফ ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ৫৭.৯৮ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে। কেইলির আগের অলিম্পিক রেকর্ডটি ছিল ৫৭.৪৭ সেকেন্ড। আর ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ৫৭.১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী রেগান স্মিথ।

রেগান বলেন, ‘আমি একে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই বলবো। কেননা আমরা একে অন্যের রেকর্ড ভাগাভাগি করে নেই। তবে কেইলি প্রয়োজনের সময় নিজের সেরাটা দিতে খুবই পারঙ্গম। সে দুর্দান্ত একজন সাঁতারু। একইসঙ্গে একজন অকৃত্রিম এবং শ্রদ্ধাশীল মানুষ। আমার মনে হয় আমাদের মাঝে দারুণ উষ্ণ একটি সম্পর্ক রয়েছে।’

প্যারিসের মতো টোকিও অলিম্পিকেও এ রেগান ও কেইলির প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করেছিলো সাঁতারপ্রেমীরা

কেইলি ম্যাকয়েনের হাত ধরে প্যারিস অলিম্পিকের লা দিফঁস অ্যারেনা থেকে সাঁতারে নিজেদের চতুর্থ স্বর্ণপদক জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়ান ডলফিনরা।

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত