চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দ্রুত টি-টোয়েন্টি মেজাজ থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে মানিয়ে নিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দল। বিপিএল শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই ক্রিকেটারদের একাংশ নেমে পড়েছে অতিরিক্ত অনুশীলনে। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স আত্মবিশ্বাসী, সময় কম হলেও দল দ্রুত ৫০ ওভারের মানসিকতায় ফিরে আসতে পারবে।
ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছেন মূলত সেই ক্রিকেটাররা, যারা বিপিএলের ফাইনালের আগে ছিটকে গেছেন। দলটি ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় প্রস্তুতি চালাবে, এরপর রওনা হবে দুবাইয়ের উদ্দেশে। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন।
টি-টোয়েন্টি থেকে হুট করে ওয়ানডে ফরম্যাটে আসার চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেছেন সিমন্স। তবে তিনি মনে করেন, ক্রিকেটাররা ইতিমধ্যেই সাদা বলের ক্রিকেটে অভ্যস্ত, এখন কেবল ৫০ ওভারের ধৈর্য্য ও পরিকল্পনায় মানিয়ে নেওয়ার পালা।
সিমন্স বলেছেন, ‘আমি স্বীকার করছি, এটা আদর্শ প্রস্তুতি নয়। তবে তারা সাদা বলের ক্রিকেট খেলেই এসেছে, স্কিল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের এখন মানসিকভাবে ওয়ানডে ভাবনায় আসতে হবে। পরবর্তী ছয়-সাত দিনে আমাদের মনোযোগ থাকবে ৫০ ওভার খেলার জন্য মানসিকতা তৈরি করা। আমরা সকাল-বিকাল দুই দফা অনুশীলন করছি—ব্যাটিং-বোলিং দুইবার করে করছি, যাতে গেম সেন্স দ্রুত ফিরে আসে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির প্রথম ধাপ দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। একবার সেটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, পরের ধাপে পাকিস্তানের কন্ডিশনেও সহজেই মানিয়ে নেওয়া যাবে।’
দলের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর মিস করেছিলেন, সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন গত নভেম্বর। বিপিএলে পাঁচটি ম্যাচ খেললেও খুব বেশি ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ পাননি। তবে শান্তর কঠোর পরিশ্রমে ভরসা রাখছেন কোচ। ‘সে যখন খেলছিল না, তখনও কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের সবারই শক্তিশালী মানসিকতা দরকার, শান্ত সেটা রাখে বলেই আমি তার থেকে ভালো কিছু আশা করছি,’ বলেন সিমন্স।
বিপিএলের শেষ দিকে ফাস্ট বোলার নাহিদ রানার গতি কমে আসায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সাম্প্রতিক অনুশীলনে রানার গতি ফিরে আসায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সিমন্স, ‘শেষের কয়েকটি ম্যাচে ওর রান-আপ ছোট মনে হচ্ছিল, গতি কমে গিয়েছিল। তবে কিছুদিন বিশ্রামের পর অনুশীলনে ওকে আগের মতো চওড়া রান-আপে ফিরে আসতে দেখেছি। গতি ভালোই উঠেছে।’
বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে এটি ফিল সিমন্সের শেষ টুর্নামেন্ট। এরপর তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, এই মুহূর্তে তিনি কেবল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকেই তাকিয়ে আছেন, ‘আমি এখানে থাকতাম না যদি বিশ্বাস না করতাম যে আমরা জিততে পারি। প্রতিটি ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। ক্যারিবীয় সফরের পর আমরা অনেক উন্নতি করেছি, এখন নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভালো সুযোগ আছে আমাদের।’