ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা পাঠাতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনে যুক্তরাজ্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসে যুদ্ধবিরতিতে ইউরোপের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্য নেতাদের জরুরি বৈঠকের আগে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
কিয়ার স্টারমার বলেন, যুক্তরাজ্য প্রয়োজনে নিজস্ব সেনা মোতায়েন করে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাতে চান, সংঘাত অবসানের আলোচনায় ইউরোপীয় দেশগুলোর ভূমিকা থাকা উচিত।
যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি সুইডেনও শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের কথা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন। সোমবার তিনি বলেছেন, এ জাতীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনার অগ্রগতি প্রয়োজন।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেনগার্ড সেভেরিজেস রেডিওকে বলেন, আমাদের এখন প্রথমে একটি ন্যায্য এবং টেকসই শান্তির জন্য আলোচনা করতে হবে। যেটা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করবে এবং ইউক্রেনকে সম্মান করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের হতবাক করে দেন। যখন তিনি ঘোষণা করেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন।
চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার মধ্য দিয়ে এ প্রচেষ্টা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক দূত কিথ কেলোগ শনিবার বলেছেন, কোনো শান্তি আলোচনার টেবিলে ইউরোপ কোনো আসন পাবে না। কিয়েভের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় তারা কী অবদান রাখতে পারে তা জানতে ইউরোপীয় রাজধানীগুলোর কাছে একটি প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন।