আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত করা, তার নির্দেশ অনুসারে জীবন পরিচালনা করা এবং পরকালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণী উল্লেখ করা হলো।
আল্লাহর ইবাদত করা : মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা জারিয়াত ৫৬) এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, দুনিয়ার জীবনের আসল উদ্দেশ্য হলো একমাত্র মহান আল্লাহর আনুগত্য করা এবং তার ইবাদত করা।
আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া : আল্লাহ বলেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে পারেন যে, তোমাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম।’ (সুরা মুলক ২) অর্থাৎ দুনিয়ার জীবন একটি পরীক্ষা, যেখানে মানুষকে ভালো ও খারাপ কাজের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে।
ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করা : মানুষকে ন্যায়বিচার, সততা ও সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য পাঠানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচার ও উত্তম আচরণের আদেশ দেন।’ (সুরা নাহল ৯০)
পরকালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া : দুনিয়ার জীবন অস্থায়ী। প্রকৃত জীবনের সূচনা হবে আখেরাতে। তাই আমাদের উচিত দুনিয়াকে আখেরাতের জন্য প্রস্তুতির জায়গা হিসেবে দেখা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা জেনে রাখো যে, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হলো বৃষ্টির মতো, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদের আনন্দ দেয়, তারপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও, তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়। আর আখেরাতে আছে কঠিন আজাব এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোঁকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (সুরা হাদিদ ২০)
দুনিয়ার জীবনের যেসব উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হলো, সেগুলো জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আখেরাতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা কাম্য। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।