রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মত হওয়ার পর কিয়েভকে পুনরায় সামরিক সহায়তা প্রদান শুরু করতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার সৌদি আরবে ওয়াশিংটন-কিয়েভের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক শেষে এসব ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সৌদি আরবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আট ঘণ্টা আলোচনার পর ইউক্রেন জানায়, তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। সেই সঙ্গে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডায়পূর্ণ বৈঠকের পর গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ও স্থগিত করেছিল ওয়াশিংটন। জেদ্দায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির কথাও জানানো হয়েছে। জেদ্দার ওই বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমাক অংশ নেন। তবে ওই বৈঠকে রাশিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠক শেষে মার্কো রুবিও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবটি উত্থাপন করছে। পুরো বিষয়টি এখন মস্কোর হাতে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা উল্লেখ করে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আশা, রাশিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইতিবাচক উত্তর দেবে। যাতে আমরা এর দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে পারি; যা প্রকৃত আলোচনা।
এর প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমাদের প্রথমে এ তথ্য নিশ্চিত হতে হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা তখন সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছি। এদিকে হোয়াইট হাউজে আবারও আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা সাংবাদিকদের বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর একবারও যুদ্ধবিরতি হয়নি। এরই মধ্যে ইউক্রেনের একটি বড় অংশের দখল নিয়েছে মস্কো। ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ ইউক্রেনের ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ২০১৪ সালের যুদ্ধে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।