শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল বললেন

এটা মোবাইল কোর্ট নয় যে, ধরে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:২০ এএম

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটা মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) নয় যে, আমি বললাম আসামি অমুক, তাকে ধরে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে  দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত চিফ প্রসিকিউটর তাড়াহুড়ো করে মামলার শুনানি করতে পারেন না। যারা দ্রুত বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা হয়তো কারও উসকানিতে করছেন।’ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি। গত সোমবার জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হত্যায় জড়িত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের গ্রেপ্তার, তাদের দ্রুত বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনে নিহত কয়েকজনের স্বজনরা। তারা মিছিল, বিক্ষোভ ও চিফ প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে সেøাগান দেন। দ্রুত বিচার শুরুর দাবি পূরণ না হলে ঈদুল ফিতরের পর ট্রাইব্যুনাল ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চিফ প্রসিকিউটরের দায়িত্ব আইন দ্বারা নির্ধারিত। আমাদের কাছে যখন তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন সেটার পরে চিফ প্রসিকিউটরের কাজ শুরু হয়। তদন্ত সংস্থার কাজটা কমপ্লিটলি তদন্ত সংস্থার ওপর। সে কারণে তদন্ত রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত চিফ প্রসিকিউটর তাড়াতাড়ি করে মামলায় শুনানি করতে পারেন না।’ তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করেছেন তারা হয়তো না বুঝে করেছেন। আমরা শহীদ পরিবারের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা তাদের স্বজনদের হারিয়েছেন, তারা বিচার চাইবেন, দ্রুত বিচার চাইবেন। এ ব্যাপারে দ্বিমত বা আপত্তির কোনো কারণ নেই। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, এই বিচারটা আইনের একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হতে হবে। এটা মোবাইল কোর্ট নয় যে, আমি বললাম আসামি অমুক তাকে ধরে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। এটার সুযোগ এখানে নেই। প্রথমত তদন্ত শেষ হতে হবে তারপর চিফ প্রসিকিউটরের কাছে তদন্ত রিপোর্ট আসবে। চিফ প্রসিকিউটর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন, এরপর বিচার শুরু হবে।’ 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘চার পাঁচটা মামলার তদন্তকাজ শেষ হয়েছে। রিপোর্ট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। চিফ প্রসিকিউটরের এখানে কিছু করার নেই। যারা চিফ প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা না বুঝে বলছেন, অথবা কোনো একটা বিশেষ মহল তাদের উসকানি দিচ্ছে। যেহেতু এই শহীদ পরিবারদের আবেগ অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ তাদের (বিশেষ মহল) আছে, তারা এদের উসকে আদালতের সামনে নিয়ে এসেছেন। আমি মনে করি এটা উচিত হয়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত