কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুপক্ষের সংঘর্ষে মিজান মিয়া নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি শ্রীনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানপাট।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হক এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সরকার সাফায়েত উল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
সেই বিরোধের জেরে গত ১৫ এপ্রিল দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
মৌটুপি গ্রামের সেই সংঘর্ষে আত্মীয়তার সূত্রে পাশর্^বর্তী শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানিপুর ও সোলায়মানপুর গ্রামের লোকজনও দুপক্ষে অংশ নেয়। এর সূত্র ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে সালিশে বসেন মাতব্বররা। সালিশে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে সোলায়মানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মিজান মিয়া বল্লমবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুল হক সুজন বলেন, দুর্বৃত্তরা শুক্রবার শ্রীনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মিজান মিয়াকে হত্যা করেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রূহানী।
