দেশব্যাপী আলোচিত মাগুরার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে আসামিদের সশরীর উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এম জাহিদ হাসান মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। প্রথম দিনে মামলার বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন। আজ সোমবার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত।
গতকাল রবিবার সকালে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় হিটু শেখসহ তার পরিবারের অন্য তিন আসামিকে আদালতে আনা হয়। সকাল ১০টার পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল সাক্ষীদের জবানবন্দি নেন। তিনজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ মামলায় ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে আদালত।
মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে সকালে আদালতে উপস্থিত করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক মামলার বাদী শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার, সাক্ষী নিজনান্দুয়ালী গ্রামের প্রধান আসামি হিটু শেখের প্রতিবেশী জলি বেগম ও নিজনান্দুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা অসুস্থ আছিয়ার বহনকারী ভ্যানচালক সাক্ষী রুবেল শেখের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া এ মামলায় শুরু থেকে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলেও আসামিদের আবেদনের ফলে লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট সোহেল আহম্মদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। তিনি সাক্ষীদের জেরা করেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন। আদালত আসামিদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে আদালত। সোমবার ২৮ এপ্রিল মামলার চার্জশিটের ৩ থেকে ৫ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক কার্যদিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান।
গত ১ মার্চ শনিবার মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী শিশু আছিয়া। সেখানে ৬ মার্চ সকালে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি।