আওয়ামী লীগের আমলে লাইসেন্স পাওয়া গণমাধ্যমের বিষয়ে তদন্ত হবে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, আমরা খুব শিগগিরই সেগুলোর তদন্ত করব। কখন, কীভাবে এদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এই অনুমোদনের ভিত্তিতে এরা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, ভুয়া সাংবাদিক তৈরি করেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপিড়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই না সাংবাদিকরা এ সরকারের পক্ষে লিখুন। সরকারকে প্রশ্ন করুন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার আরও বেশি কাজ করে, সরকার আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। এ প্রশ্ন করার অধিকার আর সাহস সবার থাকা উচিত। সাংবাদিকরা বলুক, সরকার আরো দায়িত্বশীল আচরণ করবে। কিন্তু পেশাদারিত্বে জায়গা থেকে প্রশ্ন করা এক জিনিস, আর সাংবাদিকতাকে একটি দলের আদর্শের প্রোপাগান্ডা আকারে ব্যবহার করা অন্য জিনিস।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ৭২-৭৫ এবং শেখ হাসিনার ২০০৯-২০২৪ এ দুই শাসনামলকে বাংলাদেশের অন্য কোনও শাসনামলের সঙ্গে তুলনা করা অসমচীন। তাজউদ্দীন আহমদকে মাইনাস করে যেভাবে শেখ মুজিব তার পরিবারের হাতে দল এবং রাষ্ট্রকে সমর্পিত করেছে, তার মেয়ে এটাকে অনুসরণ করেছে। আমি মনে করি, এটা একেবারে ইউনিক ঘটনা বাংলাদেশে। একটি পরিবার একটি দলকে ধ্বংস করেছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, দৈনিক সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ, দৈনিক যায় যায় দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, শীর্ষ নিউজের সম্পাদক একরামুল হক, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বিএফইউজের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার ও বিএফইউজের সদস্য শাহীন হাসনাত।