ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য সমঝোতায় পৌঁছানো সহজ নয় বলেই মনে করছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের দপ্তর ক্রেমলিন। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানে একটি সমাধানে পৌঁছার চেষ্টায় যে প্রক্রিয়া চলছে তা অস্বাভাবিক রকমের জটিল। তাই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসন্ন, তেমনটি আশা করা ভুল। পাশাপাশি ইউক্রেনকে রাশিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছে সে ব্যাপারে ক্রেমলিন কিয়েভের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অপেক্ষায় আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসেছিল ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে একমত হলেও, যুদ্ধবিরতি যে এখনই হচ্ছে না তা বৈঠক থেকে স্পষ্টই বোঝা গেছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশই একে অপরের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে বৈঠকের আগেই বেশ কিছু শর্ত রাশিয়াকে দিয়েছিল ইউক্রেন। রাশিয়া পরে বৈঠকের সময় তাদের শর্তগুলো কিয়েভকে জানায়। ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা সেই শর্তগুলো খতিয়ে দেখে এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত জানাবেন। দিমিত্রি পেসকভ জানান, বৈঠকে দুই পক্ষ যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে রাশিয়া তাতে সম্মান জানাবে। তিনি আরও বলেন, শান্তি আলোচনার বিষয়বস্তু খুবই জটিল। এতে বহু সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম তারতম্য আছে। ফলে, দ্রুত কোনো অগ্রগতির আশা নেই।
এদিকে, পানির নিচে বিস্ফোরক ব্যবহার করে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন কার্চ সেতুতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা বলছে, কয়েক মাসের প্রস্তুতির পর মঙ্গলবার সেতুটিকে নিশানা করেছে তারা। ক্রিমিয়া সেতুর ভিত্তি স্তম্ভগুলোর নিচের অংশে প্রায় ১ হাজার ১০০ কেজি টিএনটির সমপরিমাণ শক্তির বিস্ফোরক স্থাপন করা হয়েছিল। এতে সেতুর ভিত্তির নিচের দিকের অংশ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ ইউক্রেনকে এক লাখ ড্রোন সরবরাহ করতে চায় ব্রিটেন। বুধবার দেশটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ অঙ্গীকার করা হয়।