ঘুষ না পেয়ে রোগীকে মারধরের সংবাদ প্রকাশের পর গত সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করে। তিন সদস্যের টিমের অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ডিডি) আবদুল্লাহ আল নোমান। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপসহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম ও কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস।
মো. জাহেদ আলম জানান, ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গত ১৩ জুন রাতে হাসপাতাল বেডের জন্য ঘুষ না দেওয়ায় মো. মোস্তফা ও তার বৃদ্ধ বাবার ওপর ওয়ার্ডবয় নূর হোসেন কর্তৃক হামলার খবর গত ১৫ জুন দেশ রূপান্তর পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি। তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নোয়াখালী থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম ভুক্তভোগী রোগীর সঙ্গে আলাপকালে ঘটনার সত্যতা জানার পাশাপাশি নূর হোসেন ছাড়াও হেলাল নামের আরও একজনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে রোগীকে মারধরকারী ওয়ার্ডবয় দুজনের মোবাইল বন্ধ এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়ার সুযোগ হয়নি।
মো. জাহেদ আলম আরও বলেন, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির রিপোর্ট পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুদক অভিযানের সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে রোগীদের ওষুধ সরবরাহ, ডায়ালাইসিস সেবা এবং মেডিকেল টেস্ট সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে কি না, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং সেবার মান উন্নয়নের পরামর্শ দেওয়া হয়।