সিপিডির সংলাপ
করোনায় একতরফা পোশাকের দর কমিয়েছে ক্রেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ মে, ২০২১ ০০:০০
করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত তৈরি পোশাক খাত। বিদেশি ক্রেতারা কোনো দায় নিচ্ছে না। উল্টো করোনায় একতরফাভাবে পোশাকের দর কমিয়েছে তারা। এতে উদ্যোক্তাদের ওপরই সব চাপ পড়ছে। ক্রেতাদের এ ধরনের কার্যক্রম সম্পর্কে দেশে-বিদেশে সোচ্চার হতে হবে।
গতকাল শনিবার এক সংলাপে এসব অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তা, শ্রমিক নেতা এবং গবেষকরা। সজাগ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘কভিড মহামারীতে পোশাক খাতে করপোরেট জবাবদিহিতা : শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামের এ ভার্চুয়াল সংলাপ আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ( সিপিডি) ।
এতে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলের সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত। করপোরেট জবাবদিহির অংশ হিসেবে এই ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই। তবে এ কঠিনকালে দায় এড়িয়ে চলছে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা। তারা কোনো দায়িত্ব নেয়নি। বরং দায়িত্বহীনভাবে পোশাকের দর কমিয়েছে। মূল্য পরিশোধে দেরি করছে। বছরের রপ্তানি আদেশের পণ্য নিতে গড়িমসি করছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, অন্য পক্ষগুলোর মতো ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ উদ্দেশ্যে দেশের আইনেও কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এ মুহূর্তে আইনে ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের জবাবদিহির সুযোগ নেই। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ছাড়া অন্য কোনো দেশের ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার বিষয়টি স্থানীয় আইনে নেই। এ অবস্থায় ন্যায্য বাণিজ্যে তাদের বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। দেশেও সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে একতাবদ্ধ এবং সোচ্চার থাকতে হবে। সংলাপে সিপিডির একটি গবেষণা জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখানো হয়, পোশাক খাতের ছোট আকারের ৭৭ শতাংশ কারখানায় করপোরেট মূল্যবোধের চর্চা নেই। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ বা কোনো সংগঠনের সদস্য নয় এরকম কারখানার ক্ষেত্রে এ হার ৬০ শতাংশ। ৮২ শতাংশ কারখানায় করপোরেট মূল্যবোধ আছে। তবে তা প্রকাশিত নয়।
সংলাপে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পোশাকের দর নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে ঠকানো হচ্ছে। বিদেশি ক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো ন্যায্য পাওনা দেয় না। করোনায় একতরফাভাবে পোশাকের দর কমিয়েছে তারা। করোনার আগে ১৫ ডলারের পোশাকে এখন ১১ ডলারের বেশি দিচ্ছে না তারা। গবেষণায় এ বিষয়ে আরও আলোকপাত করা প্রয়োজন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য এখনো দেয়নি অনেক ক্রেতা। অবশ্য, তারাও সংকটে আছে। অনেক ক্রেতা দেউলিয়া হয়েছে। তিনি বলেন, করোনায় সুরক্ষা পদক্ষেপ, তুলা, সুতার দাম বৃদ্ধি এসব কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। অথচ এর মধ্যেই দর আরও কমেছে পোশাকের। করপোরেট চর্চা প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর সংস্কারের সঙ্গে করপোরেট চর্চায়ও অগ্রগতি হয়েছে। নুতন সভাপতি হিসেবে এ বিষয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন তিনি। বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনাকালে ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা অন্যায্য বাণিজ্য করছে। তারা যা খুশি তা-ই করছে। করোনার ক্ষতি সব পক্ষকেই ভাগ করে নিতে হবে। অথচ ক্রেতারা দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না। উদ্যোক্তারাই সব চাপ নিচ্ছে। ক্রেতাদের এ ধরনের কার্যক্রম সম্পর্কে দেশে-বিদেশে সোচ্চার হতে হবে।
সংলাপ সঞ্চালক সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্রেতা, উদ্যোক্তা ও শ্রমিক সবার মধ্যে সামাজিক সংলাপ পরিচালনা করে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব। পোশাকের দর এবং মুনাফা বাড়লে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে শ্রমিকরাও উপকৃত হবে। মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, বাংলাদেশের আইনে ক্রেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ আপাতত নেই। এ কারণে করোনার এই সংকটে যেখানে ক্রেতাদের সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল সেটা একেবারেই হয়নি। তিনি বলেন, করোনায় শ্রম আদালত বন্ধ থাকায় শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিকার হয়নি। শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, এ দেশের মালিক-শ্রমিকরা ক্রেতাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। অথচ ক্রেতারা দায়িত্বহীন কর্মকা- করছে। তিনি বলেন, তিনটি দেশ ছাড়া আর কোনো দেশের আইনে ক্রেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্বফোরামে কথা বলা দরকার। দেশে উদ্যোক্তাদের আরও জবাবদিহি থাকা উচি।
২১ শতাংশ পোশাক কারখানা ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেনি : সিপিডির জরিপে দেখা যায়, করোনাকালে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেনি ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ কারখানা। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের ২১ শতাংশ অভিযোগ করেছে তারা পাওনা বুঝে পায়নি। এদের ৩৬ শতাংশ বেতনের একটা অংশমাত্র পেয়েছে। মালিকদের পক্ষ থেকেও একই তথ্য পাওয়া গেছে। মাত্র ৪১ শতাংশ মালিক বলেছেন, তারা ছাঁটাই করার সময় শ্রমিকদের সমুদয় প্রাপ্য পরিশোধ করেছেন। ঢাকা এবং গাজীপুরের ১০২টি কারখানার মালিক এবং ৩০০ সাধারণ শ্রমিক ও ১০০ ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এতে নেতৃত্ব দেন।
জরিপে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ৩০ শতাংশ অভিযোগ করেছে করোনার পর তাদের ওপর কাজের চাপ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রম সংক্রান্ত হয়রানির অভিযোগ করেছে ২২ শতাংশ। শ্রম আইনে শ্রমঅধিকার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ধারা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ কারণে তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। ৩৭ শতাংশ কারখানা মালিক জানিয়েছেন সামাজিক সংলাপের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের সঙ্গে তারা একবারও বসেননি। জরিপের সুপারিশে ছাঁটাইয়ের আগে সংলাপে বসা এবং অসংগঠিত কারখানাকে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সদস্যপদ দেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ মে, ২০২১ ০০:০০

করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত তৈরি পোশাক খাত। বিদেশি ক্রেতারা কোনো দায় নিচ্ছে না। উল্টো করোনায় একতরফাভাবে পোশাকের দর কমিয়েছে তারা। এতে উদ্যোক্তাদের ওপরই সব চাপ পড়ছে। ক্রেতাদের এ ধরনের কার্যক্রম সম্পর্কে দেশে-বিদেশে সোচ্চার হতে হবে।
গতকাল শনিবার এক সংলাপে এসব অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তা, শ্রমিক নেতা এবং গবেষকরা। সজাগ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘কভিড মহামারীতে পোশাক খাতে করপোরেট জবাবদিহিতা : শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামের এ ভার্চুয়াল সংলাপ আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ( সিপিডি) ।
এতে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলের সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত। করপোরেট জবাবদিহির অংশ হিসেবে এই ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই। তবে এ কঠিনকালে দায় এড়িয়ে চলছে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা। তারা কোনো দায়িত্ব নেয়নি। বরং দায়িত্বহীনভাবে পোশাকের দর কমিয়েছে। মূল্য পরিশোধে দেরি করছে। বছরের রপ্তানি আদেশের পণ্য নিতে গড়িমসি করছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, অন্য পক্ষগুলোর মতো ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ উদ্দেশ্যে দেশের আইনেও কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এ মুহূর্তে আইনে ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের জবাবদিহির সুযোগ নেই। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ছাড়া অন্য কোনো দেশের ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার বিষয়টি স্থানীয় আইনে নেই। এ অবস্থায় ন্যায্য বাণিজ্যে তাদের বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। দেশেও সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে একতাবদ্ধ এবং সোচ্চার থাকতে হবে। সংলাপে সিপিডির একটি গবেষণা জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখানো হয়, পোশাক খাতের ছোট আকারের ৭৭ শতাংশ কারখানায় করপোরেট মূল্যবোধের চর্চা নেই। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ বা কোনো সংগঠনের সদস্য নয় এরকম কারখানার ক্ষেত্রে এ হার ৬০ শতাংশ। ৮২ শতাংশ কারখানায় করপোরেট মূল্যবোধ আছে। তবে তা প্রকাশিত নয়।
সংলাপে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পোশাকের দর নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে ঠকানো হচ্ছে। বিদেশি ক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো ন্যায্য পাওনা দেয় না। করোনায় একতরফাভাবে পোশাকের দর কমিয়েছে তারা। করোনার আগে ১৫ ডলারের পোশাকে এখন ১১ ডলারের বেশি দিচ্ছে না তারা। গবেষণায় এ বিষয়ে আরও আলোকপাত করা প্রয়োজন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য এখনো দেয়নি অনেক ক্রেতা। অবশ্য, তারাও সংকটে আছে। অনেক ক্রেতা দেউলিয়া হয়েছে। তিনি বলেন, করোনায় সুরক্ষা পদক্ষেপ, তুলা, সুতার দাম বৃদ্ধি এসব কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। অথচ এর মধ্যেই দর আরও কমেছে পোশাকের। করপোরেট চর্চা প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর সংস্কারের সঙ্গে করপোরেট চর্চায়ও অগ্রগতি হয়েছে। নুতন সভাপতি হিসেবে এ বিষয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন তিনি। বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনাকালে ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা অন্যায্য বাণিজ্য করছে। তারা যা খুশি তা-ই করছে। করোনার ক্ষতি সব পক্ষকেই ভাগ করে নিতে হবে। অথচ ক্রেতারা দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না। উদ্যোক্তারাই সব চাপ নিচ্ছে। ক্রেতাদের এ ধরনের কার্যক্রম সম্পর্কে দেশে-বিদেশে সোচ্চার হতে হবে।
সংলাপ সঞ্চালক সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্রেতা, উদ্যোক্তা ও শ্রমিক সবার মধ্যে সামাজিক সংলাপ পরিচালনা করে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব। পোশাকের দর এবং মুনাফা বাড়লে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে শ্রমিকরাও উপকৃত হবে। মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, বাংলাদেশের আইনে ক্রেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ আপাতত নেই। এ কারণে করোনার এই সংকটে যেখানে ক্রেতাদের সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল সেটা একেবারেই হয়নি। তিনি বলেন, করোনায় শ্রম আদালত বন্ধ থাকায় শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিকার হয়নি। শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, এ দেশের মালিক-শ্রমিকরা ক্রেতাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। অথচ ক্রেতারা দায়িত্বহীন কর্মকা- করছে। তিনি বলেন, তিনটি দেশ ছাড়া আর কোনো দেশের আইনে ক্রেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্বফোরামে কথা বলা দরকার। দেশে উদ্যোক্তাদের আরও জবাবদিহি থাকা উচি।
২১ শতাংশ পোশাক কারখানা ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেনি : সিপিডির জরিপে দেখা যায়, করোনাকালে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেনি ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ কারখানা। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের ২১ শতাংশ অভিযোগ করেছে তারা পাওনা বুঝে পায়নি। এদের ৩৬ শতাংশ বেতনের একটা অংশমাত্র পেয়েছে। মালিকদের পক্ষ থেকেও একই তথ্য পাওয়া গেছে। মাত্র ৪১ শতাংশ মালিক বলেছেন, তারা ছাঁটাই করার সময় শ্রমিকদের সমুদয় প্রাপ্য পরিশোধ করেছেন। ঢাকা এবং গাজীপুরের ১০২টি কারখানার মালিক এবং ৩০০ সাধারণ শ্রমিক ও ১০০ ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এতে নেতৃত্ব দেন।
জরিপে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ৩০ শতাংশ অভিযোগ করেছে করোনার পর তাদের ওপর কাজের চাপ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রম সংক্রান্ত হয়রানির অভিযোগ করেছে ২২ শতাংশ। শ্রম আইনে শ্রমঅধিকার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ধারা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ কারণে তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। ৩৭ শতাংশ কারখানা মালিক জানিয়েছেন সামাজিক সংলাপের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের সঙ্গে তারা একবারও বসেননি। জরিপের সুপারিশে ছাঁটাইয়ের আগে সংলাপে বসা এবং অসংগঠিত কারখানাকে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সদস্যপদ দেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।