গত দুই দশকে, দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈষম্য রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। ৪০ থেকে ৬০ শতাংশই জন্মগত কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়া গত তিন বছরে একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে এবং পুনরুদ্ধার থেকে প্রবৃদ্ধির দিকে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘সুযোগ সম্প্রসারণ : অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং বিশ্বব্যাংক এর আয়োজন করে। বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সব গোষ্ঠীকে সমানভাবে উপকৃত করেনি, এবং সামাজিক অগ্রগতি অধরা রয়ে গেছে। এই অঞ্চলে মোট বৈষম্যের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশই কোনো বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়। যেমন জন্মস্থান, পারিবারিক পটভূমি, বর্ণ, জাতিসত্তা এবং লিঙ্গ বৈষম্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এগুলো কোনো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
এ অঞ্চলের প্রজন্মগত গতিশীলতাও বিশ্বের সর্বনিম্ন। অঞ্চলটির ৯ শতাংশেরও কম পিতামাতার শিক্ষার মান খুই নিম্ন স্তরের। তবে নিজেরা উচ্চতর শিক্ষার স্তরে পৌঁছেছেন, এমন ব্যক্তি রয়েছেন ২৫ শতাংশ। সুযোগের বৈষম্য শুধু অন্যায্যই নয়, অদক্ষও। এটি প্রতিভার সর্বোত্তম সুযোগ রোধ করে এবং মানব পুঁজি সঞ্চয় করার জন্য প্রণোদনা হ্রাস করে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে লাইনচ্যুত করে। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন এবং উচ্চ সুযোগের গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবধান পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষ করে শিক্ষা খাতে। এখানে এখনো অনেক কিছু করা বাকি আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অবশ্যই আর্থ-সামাজিক বৈষম্য কমাতে হবে।