বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

রোজাকে সামনে রেখে সুখবর নেই বাজারে

আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭ পিএম

আর কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এরই মধ্যে রোজার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তবে এবার রমজানকে ঘিরে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই গতবছরের চেয়ে বেশি। গত এক বছরের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ছোলা, খেজুর, মসুর ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, বেসন, মাছ ও মাংসের দাম কেজিতে ৪ থেকে ১৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

রোজা শুরুর আগে শুক্রবার ছুটির দিনের শেষ বাজার। যে কারণে বেশিরভাগ ক্রেতা রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাজারে এসেছিলেন সকালে। তবে আগেভাগেই বেশিরভাগ পণ্যের দর বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। আবার অনেকেই প্রয়োজনীয় পণ্য না কিনে দাম কমার অপেক্ষায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সোনালি ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ ও লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, করলা ১০০, ঢেঁড়স ৮০, বরবটি ১৪০, শশা ৮০, খিরাই ৬০, পেঁপে ৫০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, ঝিঙ্গা ১০০, পটল ১২০, সজনে ২৪০ এবং প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০  থেকে ৮০ টাকায়।

চলতি সপ্তাহে এসব বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০, পাকা টমেটো ৪০ থেকে ৬০, কাঁচা টমেটো ৩০, গাজর ৩০ থেকে ৪০, আলু ৩৫ এবং প্রতিটি ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ ও ব্রুকলি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলার হালি ৪০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকলি ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে রমজানের আগে খেজুর ও ছোলা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বাজারে এখন এক কেজি সাধারণ মানের (জাহেদি) খেজুর ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর রোজার আগ মুহূর্তে এ ধরনের খেজুরের কেজি- ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া ভালো মানের খেজুর ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, যা গত রমজানের থেকে ৪০০ টাকা বেশি।

অন্যদিকে, রমজানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। গতবছর বাজারে এ সময় ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। সেই হিসেবে এবার কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। একইভাবে পিঁয়াজুর তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় খেসারি ডালের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। যা আগে ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল।

গত বছর এ সময় প্রতি কেজি চিনি কেনা গেছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এখন কিনতে হলে ভোক্তাকে গুণতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ চিনির কেজিতে এক বছরের ব্যবধানে ক্রেতাদের বেশি খরচ করতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত