বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় পিকনিকের খিচুড়িতে ছাগলের বিষ্ঠা ও আবর্জনা ঢেলে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করার অভিযোগে কেশরতা গ্রামে পিকনিকের খিচুড়ি নষ্ট করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন।
এ নিয়ে দেশ রূপান্তরে ‘পিকনিকের খিচুড়িতে ছাগলের বিষ্ঠা ও ময়লা দিলেন এসিল্যান্ড’ শিরোনামে খবর প্রকাশের পর সেই এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। বুধবার (২২ মে) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত আদমদীঘিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন।
এর আগে রবিবার (১৯ মে) রাতে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ডিউটি করার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামে যান ফিরোজ হোসেন। তিনি ওই গ্রামের দীঘিপাড়া গিয়ে প্রায় ৭০ জন শিশু, নারী ও পুরুষের জন্য খিচুড়ি রান্না করতে দেখেন। আয়োজনটি কোন প্রার্থীর পক্ষে হচ্ছে এ নিয়ে জেরার এক পর্যায়ে তার গাড়ি চালক হযরত আলীকে খিচুড়ি নষ্ট করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে গাড়ি চালক ছাগলের বিষ্ঠা ও খড়সহ নানা আবর্জনা ঢেলে খাবার নষ্ট করে দেন। এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর বিষয়টির তদন্ত শুরু করে বগুড়া জেলা প্রশাসন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিনকে এ নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেশরতা গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীর মৌখিক ও লিখিত জবানবন্দি নেন।
এ সময় গ্রামবাসী অভিযুক্ত সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। কেশরতা গ্রামে তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন ও তার গাড়ি চালক হযরত আলীর বক্তব্য নেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে পড়লেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের ওই সিদ্ধান্তটি অমানবিক হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত কি হবে সেটা তারা ঠিক করবেন।