যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কমলা হ্যারিসের সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন এবং নতুন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (৫৯) নাম সুপারিশ করেন। পরবর্তী সময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটনসহ অসংখ্য প্রভাবশালী নেতার সমর্থন পেয়েছেন কমলা। এক সপ্তাহের মধ্যেই কমলার নির্বাচনী তহবিলে জমা পড়েছে ২০ কোটি ডলার এবং তার সঙ্গে কাজ করার জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নাম লিখিয়েছেন। মতামত জরিপের তথ্য অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের কাছে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে কমলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, বুড়ো বাইডেন সরে যাওয়ায় নবজীবন পেয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা। কমলার জনপ্রিয়তা সাড়া ফেলেছে ইউরোপ, এশিয়ার অনেক দেশেও। এমন অবস্থায় কমলার এই ছুটে চলা থামাতে চান রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য তিনি অকাতরে অর্থ বিলাতে শুরু করেছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, কমবয়সী ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা বাইডেনের প্রতি বিমুখ হলেও জেন জি ও সার্বিকভাবে তরুণ-তরুণীদের কাছে কমলা হ্যারিস অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আর সেটি ঠেকাতেই ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ১ কোটি ডলার বা ১১৭ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন প্রচার করতে যাচ্ছে ট্রাম্পের প্রচার শিবির।
রয়টার্সের ভাষ্য, জানুয়ারির পর এবারই প্রথম ট্রাম্প বিজ্ঞাপনের পেছনে এই পরিমাণ অর্থ খরচ করতে যাচ্ছেন। সে সময় তিনি নির্বাচনে দলের টিকিট পেতে অন্যান্য রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে লড়ছিলেন। এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
বেশ কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা দলের মূল কৌশল ছিল ‘বুড়ো’ বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার ওপর আক্রমণ। বাইডেনের বদলে দৃশ্যপটে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী কমলার আগমনে নতুন কৌশল নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাম্পের প্রচারণা দল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ১০০ দিনেরও কম সময় আগে কিছু অনানুষ্ঠানিক মতামত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ভালো ফল করেছেন কমলা। বিশেষত, তরুণদের মধ্যে। গত সোমবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। এই বিজ্ঞাপনে অতীতের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, প্রচারণা সভা ও বিতর্কে কমলা হ্যারিসের বলা কথাগুলোর সমন্বয়ে তাকে একজন জনবিচ্ছিন্ন অতি উদারপন্থি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে রিপাবলিকানরা।
জবাবে কমলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ আনেন।