শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

দেখে নেওয়া যাক ইংলিশ লিগের স্মরণীয় পাঁচ ম্যানচেস্টার ডার্বি

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম

ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি সর্ব প্রথম নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে ১৮৮১ সালে। আজ ফের ম্যানচেস্টার ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানইউ ও ম্যানসিটি। এবারের ডার্বি প্রিমিয়ার লিগে। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০ টায় সিটির মাঠ ইতিহাদে শুরু হবে ম্যাচ।

এই দুই দলের বহু স্মরণীয় ম্যাচ আছে। লিগে স্মরণীয় পাঁচ ম্যানচেস্টার ডার্বি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো, এই পাঁচটি বাদেও আরও ম্যাচ আছে যা এই তালিকায় আসার মতো।

ম্যানইউ ০-১ ম্যানসিটি, এপ্রিল ১৯৭৪

১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল লিগের ৪২তম রাউন্ডের ম্যাচ। সেটি ছিল লিগ মৌসুমের শেষ ম্যাচও। ম্যাচটি দেখতে প্রায় ৫৭ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিলেন। ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোল করেন সিটির ডেনিস ল। ওই এক গোলেই ম্যাচটি জেতে সিটি। ডেনিস ল সিটিতে আসার আগে ম্যানইউতেও খেলেছিলেন।

ম্যাচটি হেরে পয়েন্ট টেবিলে ২২ দলের মধ্যে ২১ নম্বরে শেষ করে ম্যানইউ। অর্থাৎ দ্বিতীয় লেহগে নেমে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ডেনিস ল।

 ম্যানইউ ৪-৩ ম্যানসিটি, সেপ্টেম্বর ২০০৯

এই ম্যাচটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে অন্যতম রোমাঞ্চকর ডার্বি হিসেবে বিবেচিত। মৌসুমে সিটি ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি খরচ করেছিল খেলোয়াড় কেনায়। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা এই ম্যাচে মাইকেল ওয়েন শেষ মুহূর্তে (যোগকরা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে) গোল করে ম্যানইউকে জয় এনে দিয়েছিলেন।

গোলের পর ওয়েনসহ বাকি খেলোয়াড়দের উল্লাস।

 ম্যানইউ ১-৬ ম্যানসিটি, অক্টোবর ২০১১

ম্যানইউয়ের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিটির এই জয় ঐতিহাসিক বটে। মারিও বালোতেল্লি তার গোলের পর "Why Always Me?" লেখা জামা দেখিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। বালোতেল্লি প্রায়ই সমালোচিত হতেন তার নিজের ব্যবহার এবং ডিসিপ্লিনের কারণে। সেটিরই এক ধরনের প্রতিবাদ ছিল এটি।

এই ম্যাচে সিটি দেখিয়েছিল তাদের স্কোয়াডের সামর্থ্য। সিটির হয়ে জোড়া গোল করেছিলেন বালোতেল্লি ও এডেন জেকো। একটি করে গোল করেন সার্জিও আগুয়েরো ও ডাভিড সিলভা। ম্যানইউর হয়ে একটি গোল শোধ দিয়েছিলেন ড্যারেন ফ্লেচার।

গোলের পর জার্সি উচিয়ে ভেতরের গেঞ্জিতে লেখা বার্তা দেখাচ্ছেন বালোতেল্লি।

ম্যানসিটি ২-৩ ম্যানইউ, ডিসেম্বর ২০১২

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। রবার্ট ভ্যান পার্সির দুর্দান্ত ফ্রি-কিক শেষ মুহূর্তে ম্যানইউকে জয় এনে দেয়। এই ম্যাচটি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শেষ মৌসুমে গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে দেখা হয়। ম্যাচের ১৬ ও ২৯ মিনিটে ওয়েন রুনির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানইউ। ৬০ মিনিটে ইয়া ইয়া টুরে এবং ৮৬ মিনিটে পাবলো জাবালেতা গোল করলে ২-২ সমতা ফেরে। তবে যোগকরা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে জয়সূচক গোলটি করেন পার্সি।

ম্যানসিটি ২-৩ ম্যানইউ, এপ্রিল ২০১৮

ম্যাচের আগে পেপ গার্দিওলার দল ম্যানসিটি ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষে ছিল। তাই ম্যাচে ফেবারিট ভাবা হয়েছিল সিটিকেই। ম্যাচটি জিতলে সেদিনই শিরোপা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যেতো সিটির। তাই ঘরের মাঠে সিটির সমর্থকরা উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে ভিনসেন্ট কোম্পানি ও ইকাই গুনদোয়ানের গোলে এগিয়ে যায় সিটিজেনরা। তবে ৫৩ ও ৫৫ মিনিটে দুই গোল করে দলকে সমতাফ ফেরান পল পগবা। আর ৬৯ মিনিটে ক্রিস স্মলিং গোল করলে শেষ পর্যন্ত ৩-২ এর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানসিটি।

 

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত