‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে হৃতিক রোশনের। তার জন্মদিন এবং ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১০ জানুয়ারি ভারত জুড়ে পুনরায় মুক্তি দেওয়া হয় সিনেমাটি। সেই সিনেমা, হৃতিক এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক অজানা তথ্য শেয়ার করলেন ছবিটির পরিচালক তথা হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশন।
সিনেমাটিতে হৃতিকের নায়িকা ছিলেন আমিশা পাটেল। কিন্তু এই ছবিতে তার কাজ করার কথা ছিল না। এবার তাকে নেওয়ার কারণ ফাঁস করলেন পরিচালক।
রাকেশ রোশন বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে প্রথম থেকেই ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম আমি। সিনেমার গল্প পড়ার পর আমার মনে হয়েছিল, এই সিনেমায় নতুন দুই মুখের ভীষণ দরকার। শুধু নায়ক নয়, নায়িকাকেও হতে হবে নতুন। শুরুতে কাহো না প্যায়ার হ্যায় ছবিতে হৃতিকের নায়িকা নির্বাচিত হয়েছিলেন কারিনা কাপুর।
কানাঘুষো শোনা যায়, অভিষেক বচ্চনের নায়িকা হিসাবে মেয়েকে লঞ্চ করতে এই ছবি থেকে কারিনাকে সরিয়ে নেন ববিতা। যদিও আমিশা বছর কয়েক আগে দাবি করেছিলেন কারিনাকে বাদ দেন রাকেশ রোশন।
ছবির ২৫ বছর পূর্তিতে রাকেশ জানিয়েছেন, শ্যুটিং শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে আমিশাকে কাস্ট করা হয়। আমিশা একজন বহিরাগত অভিনেত্রী ছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ভীষণ ভালো অভিনয় করেছিলেন এই সিনেমায়। দুজনে নতুন হলেও কাউকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে ওরা প্রথম কোনও সিনেমায় অভিনয় করছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এক্সপিরিয়েন্স অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতো অভিনয় করেছিল ওরা।
একেবারেই নবাগতা ছিলেন আমিশা। সিনেমায় আমিশাকে কাস্ট করার বিষয়টা কি চ্যালেঞ্জিং ছিল না, এমন প্রশ্নে পরিচালক বলেন, আমি প্রথম থেকেই একটু ভিন্ন পথ বেছে নেওয়াই পছন্দ করি। প্রথমে ‘খুন ভারি মাং’ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম যেখানে রেখাকে কাস্ট করেছিলাম আমি। এরপর ‘কিশান কানাইয়া’ সিনেমায় অনিল কাপুরের দ্বৈত চরিত্র, ‘কিং আংকেল’ সিনেমায় একটি ছোট্ট মেয়েকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি করা এসব কিছুই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল।
পরিচালক বলেন, তবে যখন ‘করণ-অর্জুন’ সিনেমাটি পরিচালনা করি, তখন আমার মনে হয় এবার কিছু রোমান্টিক সিনেমা তৈরি করার দরকার আছে। তখনই ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমাটি তৈরি করার চিন্তাভাবনা শুরু করি। তবে হৃতিককে চকলেট বয় হিসাবে উপস্থাপন করতে চাইনি আমি, তাই ‘কোই মিল গায়া’ সিনেমায় প্রতিবন্ধী হিসেবে ওকে কাস্ট করি। এই সবকিছুই আমার কাছে ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমার প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জ যে মানুষ ভালোবেসে গ্রহণ করেছিল, তার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।