জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গণহত্যার বিচার অবশ্যই আগে করতে হবে, তারপরে অন্য কাজ। তা না হলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জামায়াতের এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনীতির সঙ্গে চাঁদাবাজি, দুর্বৃত্তের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আগে যেমন চাঁদাবাজি ছিল, এখন আছে। এ চাঁদাবাজি কারা করছে, তা বন্ধ করতে হবে।’
‘জামায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে মজলুম দল’ উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখনো নিবন্ধন ফিরে পাইনি। জামায়াত একটা মাত্র যে দলের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই দল আল্লাহর আইন চায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোনো অপকর্ম জামায়াত ইসলামীকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা দুর্নীতি, লুটপাট করেছে। জামায়াতের কারও বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ নেই।’
এ সময় জামায়াত আমির বলেন, ‘যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। কারও উসকানিতে আমরা কারও ক্ষতি করতে দেব না। পলাতক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর এখন দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন। নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।’
দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
জেলা জামায়াতের আমির নুর মোহাম্মদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতা ও জেলার কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকে সম্মেলনস্থলে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সকাল ৯টার মধ্যেই হাজারো মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সম্মেলনস্থল।
বিপুল লোকের সমাগমকে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জামায়াতের নিজস্ব প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিলেন।