মেঘালয় ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য। যার রাজধানী শিলংয়ের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫২৫ মিটার ওপরে। পাহাড় ঘেরা এই শহরে আগামী ২৫ মার্চ এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফিকেশনের ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার প্রস্তুতি নিতেই বাংলাদেশ দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে এখন আছে সৌদি আরবের তায়েফ শহরে। এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের কথা রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর। অবশ্য দলে অভিজ্ঞদের সঙ্গে রয়েছেন দুই তরুণ, ফরোয়ার্ড পিয়াস আহমেদ নোভা ও সেন্টার ব্যাক শাকিল আহাদ তপু।
বয়স কুড়ি না ছোঁয়া এ দুই উঠতি প্রতিভার সামনে চ্যালেঞ্জ একাদশে জায়গা করে নেওয়া। তায়েফে ক্যাম্প করার মাঝে নোভা জানিয়েছেন, ‘সবকিছু নিখুঁত আছে। সবাই সুস্থ আছে। আশা করি সবকিছু ভালোই হবে ইনশাল্লাহ। দলে সিনিয়র রাকিব ভাই আছেন, মোরসালিন ভাই আছেন, নতুন প্লেয়ার আল আমিন আছে। জায়গা পাওয়া কঠিন হবে কিন্তু নাম্বার ৯ হিসেবে আমি এখানে জায়গা পেতে লড়াই করব। ইনশাল্লাহ খেলার চেষ্টা করব।’
তপু বর্মণ, তারেক কাজি, বিশ্বজিতদের মতো রক্ষণভাগের অভিজ্ঞ সেনানীদের ভিড়ে নিজেকে পরিচিত করতে চান শাকিল আহাদ তপুও। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে পরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্নে বিভোর এ তরুণ সেন্টার ব্যাক। নিজের স্বপ্নের কথা বলেছেন এভাবে, ‘সৌদিতে এই প্রথম ক্যাম্প করছি আমি। এর আগেও আমি জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছি এবং সৌদিতে এসে আমার ভালো লাগছে। কোচ যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন, সেভাবে খেলার চেষ্টা করছি। সব মিলিয়ে ভালো। আমার পজিশনে সিনিয়র প্লেয়াররা আছেন। তারা অনেক দিন ধরে খেলছেন। তাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমি চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার এবং দলে জায়গা করে নেওয়ার।
তায়েফের ক্যাম্প নিয়ে সন্তুষ্টি ঝরেছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কণ্ঠেও। বলেছেন, ‘এই ধরনের অনুশীলনের সুযোগ পাওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত ৬০ মিনিট খেলার সুযোগ পাওয়াটা খেলোয়াড়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কেউ ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছে। ঢাকা থেকে যে প্রস্তুতি আমরা শুরু করেছিলাম, সেটার সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য এটা ভালো সুযোগ। এমনকি যারা ক্যাম্পে নতুন, তাদেরও এটা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তো এটা আসলেই ইতিবাচক। ছেলেদের প্রচুর প্রাণশক্তি ছিল, যে কৌশল নিয়ে কাজ করছি, সেটা প্রয়োগের চেষ্টা করেছি আমরা। সব মিলিয়ে আমি তাদের নিয়ে খুশি।’