গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালিস্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের এবারের আসর প্রায় শেষ হতে চলেছিল শেষ ষোলোতেই। জার্মান ক্লাবটি ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় লেগ খেলতে উড়ে আসে লিলের মাঠে। বুধবার রাতের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোলও হজম করে বসতে হয়। এমন ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় লিলকে পাশ কাটানোর পর এবার তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে ডর্টমুন্ড। দ্বিতীয়ার্ধে থমাস মিউনিয়েরের ফাউলের সুযোগে ভিএআরে পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড। স্পট কিকে অধিনায়ক এমরে কান দলকে সমতায় ফেরান। তার মিনিট দশেক পরেই রেয়ারসন ও গুইরাসির সম্মিলিত আক্রমণের ফলে লিলের বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান ম্যাক্সিমিলান বেইয়ের। ঝড়ো শটে সেই বল জালে জড়িয়ে ডর্টমুন্ডের লিড নিশ্চিত করেন এ মিডফিল্ডার। ৮০ মিনিটের দিকে সমতা টানার সেরা সুযোগটি খুঁইয়ে বসে লিল। হ্যারাল্ডসনের ভলি ফিরিয়ে দিয়ে ডর্টমুন্ডের সুইস গোলকিপার গ্রেগর কোবেল। তাতেই কপাল পোড়ে লিলের। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হলো না ফরাসি ক্লাবটির। শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের।
জানুয়ারির শেষ দিকে ডর্টমুন্ডের কোচ হয়ে আসা নিকো কোভাচ শেষ ষোলো উতরে গেছেন। এবার তার সামনে স্বদেশি কোচ হানসি ফ্লিকের বার্সেলোনা। তবুও আত্মবিশ্বাসী কোভাচ, ‘বার্সেলোনা শক্তিশালী দল। এর অর্থ হলো ম্যাচের যে সময়েই আমরা পজিশন পাব সেটার সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হবে।’
রাতের অন্য ম্যাচে ক্লাব ব্রুজকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে অ্যাস্টন ভিলা। ভিলার হয়ে জোড়া গোল করেন মার্কো অ্যাসেনসিও। অন্য গোলটি আসে ইয়ান মাটসেনের পা থেকে।