১০
রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে এক যুবককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর (২২)। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তানভীর।
জানা যায়, তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মুন্সীরহাট গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে মধ্য বাড্ডা কবরস্থান রোডে থাকতেন। তার বাবা মো. সাহাদুল্লাহ। তানভীর এলাকায় একটি দোকানের কর্মচারী।
নিহত তানভীরের বাবা জানান, গতকাল বুধবার ইফতারের পর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তানভীর। এর ১ ঘণ্টা পর মোবাইল ফোনে তিনি খবর পান, কবরস্থান রোডের শেষ মাথায় আইসিএল মাঠে পড়ে রয়েছেন তানভীর। তাকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পাই। তিনি পৌঁছানোর পর ঘাতকরা তাকে দেখে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মারা যান তানভীর। তার মাথা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাত থেকে আটটি আঘাত করা হয়েছে। ১৭-১৮ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছিল তাকে। তবুও তাকে বাঁচানো যায়নি।
নিহত তানভীরের বাবা সাহাদুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার সিয়াম ওরফে বার্গার সিয়াম, মিঠু, স্বাধীন, শাওনসহ ১০-১২ জন মিলে তাদের উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করেছিল। তারা মূলত নিজেদের এলাকার সিনিয়র দাবি করত। সেই সিনিয়র দাবি নিয়ে মাঝেমধ্যেই তানভীরকে রাস্তাঘাটে পেলে মারধর করত এবং খারাপ ব্যবহার করত। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হিসেবেই বুধবার রাতে তাকে কুপিয়েছে। ঘটনার সময় তার সঙ্গে বেতনের ১০ হাজার টাকা ও একটি ফোন ছিল। সেগুলোও ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুর রহমান জানান, মধ্য বাড্ডায় একটি মারামারির ঘটনায় ওই যুবক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই ঘটনায় বুধবার রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।