পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যপদ বাগিয়ে নিয়েছেন এনামুল হাসান নামের একজন আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন শিকদার ওরফে জামালের চাচাতো ভাই। এক সপ্তাহ আগে এনামুল হাসান ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে গতকাল তিনি পদ পাওয়ার আনন্দে একটি ভূরিভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপরেই দলের সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, ২ নম্বর কালিশুরী ইউনিয়ন বিএনপির তিনটি পদের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণ করেছেন। এরপর থেকে পদগুলো শূন্য ছিল। দলের গতিশীলতা রক্ষার জন্য শূন্য পদে তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে এনামুল হাসান সদস্যপদ পেয়েছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, এনামুল হাসান সরাসরি আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন এবং ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। তখন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন। এনামুল তার ফুফা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরের ক্ষমতায় বিভিন্ন সময় জমি দখল, সালিশের নামে অর্থ আদায় করেছেন। বিএনপিতে সদস্যপদ পাওয়ার আনন্দে এনামুল হাসান কালিশুরী হাইস্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে তিনটি খাসি জবাই করে ভূরিভোজের আয়োজন করেন। তবে, ওই অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতারা তিনটি নাম প্রস্তাব করেছিলেন। তাদেরই তিনটি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এনামুলের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবনের বিষয়ে পাওয়া অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
