বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ফের বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন ট্রাম্প জেলেনস্কি

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ এএম

ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি শর্ত নিয়ে আবারও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিমিয়ায় মস্কোর দখলদারিত্ব মেনে নিতে কিয়েভ আপত্তি জানালে গত বুধবার জেলেনস্কিকে আবারও প্রকাশ্যে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন ট্রাম্প।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় জোরপূর্বক নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠা করে রাশিয়া। তখন থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে আসছে। ক্রিমিয়া দখলের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন এক সাবেক পশ্চিমা কর্মকর্তা। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন কখনই রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়াকে স্বেচ্ছায় বিকিয়ে দেবে না। এটা আমাদের সংবিধান বিরোধী। এই বক্তব্যের পর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জেলেনস্কির বক্তব্যকে উসকানিমূলক উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এ ধরনের মন্তব্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠা আরও জটিল হয়ে পড়বে। ক্রিমিয়া নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। সেটা বহু আগেই কিয়েভের হাতছাড়া হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রস্তাব মেনে না নিলে ইউক্রেন ইস্যু থেকে সরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকালের তর্কাতর্কিতে একই হুমকির পুনরাবৃত্তি করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তিনি বলেন, হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন আমাদের প্রস্তাব মেনে নেবে, নইলে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াবে।

এদিকে ২০১৮ সালের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও স্বাক্ষরিত ক্রিমিয়া সংক্রান্ত এক ঘোষণা যুক্ত করে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে এবং ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা পুনঃস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থানে অটল থাকবে। ওই পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন তার সংবিধান মেনে চলবে। ক্রিমিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্ররা আগের অবস্থান বজায় রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত