বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত গাছ-ফসলের ক্ষতি

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৮ এএম

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে গত শনিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শুরু হওয়া ঝড় লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় তা-ব চালায়। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ৩০ মিনিট স্থায়ী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ধান, ভুট্টা, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের সুমন মিয়া বলেন, ‘বাড়ির পাশের একটি গাছ পড়ে টিনের ঘর ভেঙে গেছে। পাশাপাশি তামাকসহ ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।’ একই ইউনিয়নের সাইদুল ইসলাম জানান, কাকিনা চরের বাজারের কাছে একটি বড় বটগাছ উপড়ে পড়ে তিনটি টিনের ঘর ও বাজারের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঝড়ে অনেক এলাকায় সড়কের ওপর গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা গাছ সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল চালু হয়। হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী এলাকার বাসিন্দা সেলিম বলেন, ‘ঝড়ে আমার দুটি ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে এবং দ্রুত সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষক সামছুল আলম বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের এখানে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে জমিতে পড়ে গেছে ধান। বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকার পুরো এলাকা।’

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, শনিবার রাতে হঠাৎ ঝড়ে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত