ফরিদপুরে মাকে দেখতে না দিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠা শিশু তানহা আক্তারকে (১৪ মাস) উদ্ধার করেছে র্যাব। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রবিবার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তানহাকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হান্নান সরদারের মেয়ে পপি বেগমের সঙ্গে ফরিদপুরের রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে নানা ঝামেলার একপর্যায়ে পপি বেগমের সঙ্গে কাইয়ুম বিশ্বাসের তালাক হয়ে যায়। এসময় তার স্বামী মো. কাইয়ুম বিশ্বাস তাদের শিশুকন্যা তানহাকে জোর করে রেখে দেন। পরে পপি একাধিক বার মেয়েকে আনতে গেলে সাবেক স্বামী এতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করেন।
পপি গত বছরের ডিসেম্বরে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এতে সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। পরে আদালত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য ২৮ এপ্রিল নগরকান্দা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন।
নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে শিশু তানহাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হান্নান সরদারের মেয়ে পপির সঙ্গে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের সঙ্গে
তিন বছর আগে বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ মাস আগে তাদের মধ্যে তালাক হয়।