ঈদের আগে দোকান ও রিটেইল কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ না করলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় (যমুনা) অভিমুখে পদযাত্রার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ ঘোষণা দেন। একই দিন গার্মেন্টস শ্রমিকরাও বেতন ও বোনাস না পেলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা জানান, দেশে প্রায় ৬০ লাখ দোকান ও রিটেইল কর্মচারী দোকান, শপিং মল, চেইনশপ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, হোলসেল, ইলেকট্রিক দোকান, সেলুন, বিউটি পার্লার ও ওষুধের দোকানে কাজ করেন। ঈদের আগে মালিকদের মুনাফা বাড়াতে এ কর্মচারীরা সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াই অতিরিক্ত সময় কাজ করেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা ঈদ বোনাস পান না, এমনকি নিয়মিত বেতন-ভাতাও ঠিকমতো পরিশোধ করা হয় না। সমাবেশের পর প্রেস ক্লাব এলাকায় একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকেই সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত র্যালি ও সমাবেশে শ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা মো. কবির হোসেন, জেসমিন আক্তার, সিমা আক্তার, আলেয়া বেগম, রিয়াদ হোসেন, লোকমান আলী, মনিরা মুন্নি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা দেশের ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখে, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী। কিন্তু ঈদ এলেই মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বেতন ও বোনাস পরিশোধে টালবাহানা করেন। তারা ভ্যাট ছাড়, ব্যাংক ঋণ ও রপ্তানি প্রণোদনার সুবিধা নিলেও শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান বোনাস বা পূর্ণ বেতন দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। অনেক কারখানায় বকেয়া বেতন ও বোনাস না দেওয়ার পাঁয়তারা চলে, যা সেক্টরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।