টেস্ট ফাইনালের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের ঠিক আগে এক বিতর্কিত ঘটনার মুখোমুখি হন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড বেডিংহ্যাম। ব্যু ওয়েবস্টারের করা ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বল ডিফেন্স করতে গেলে বল তার ব্যাটের ভেতরের দিকে লেগে উরুতে আঘাত করে এবং প্যাড ও পায়ের মাঝখানে আটকে যায়।
এ সময় উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি পেছন থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তিনি কিছু করার আগেই বেডিংহ্যাম হাঁটু মুড়ে নিজের হাতে বলটি সেখান থেকে সরিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডার উসমান খাজা ও স্টিভ স্মিথ আংশিকভাবে আপিল করেন, কিন্তু আম্পায়াররা এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তেমন আগ্রহ দেখাননি।
বিতর্ক তৈরি হয়েছে, বলটি কি তখনও "লাইভ" ছিল, নাকি "ডেড" হয়ে গিয়েছিল? বলটি পুরোপুরি থেমে গিয়েছিল কিনা, তা নিশ্চিত নয়। কারণ বেডিংহ্যামের মধ্যে ভীতিকর প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল, তাতে বোঝা যায় তিনিও মনে করছিলেন বলটি তখনও লাইভ এবং তিনি হ্যান্ডল দা বলের দোষে আউট হয়ে যেতে পারেন।
যদিও এখন আর ‘হ্যান্ডল্ড দ্য বল’ (বল হাতে ধরা) নামে কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই, তবুও আইনের ধারা ৩৭ ফিল্ডারকে বাধা দেওয়া বা খেলার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করার নিয়ম নির্ধারণ করে।
ধারা ৩৭.৩: "যদি ব্যাটসম্যান বা অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি করে বা বিভ্রান্ত করে, যার ফলে ব্যাটসম্যান ক্যাচ আউট হওয়া থেকে বেঁচে যায়, তাহলে তাকে 'অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড' (খেলার প্রতিবন্ধকতা) হিসেবে আউট দেওয়া হবে।"
ধারা ৩৭.৪: "যদি বল খেলায় থাকে এবং কোনো ব্যাটসম্যান ফিল্ডারের সম্মতি ছাড়া নিজের ব্যাট অথবা শরীরের কোনো অংশ ব্যবহার করে বল কোনো ফিল্ডারকে ফিরিয়ে দেয়, তাহলে তাকেও ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ হিসেবে আউট দেওয়া যাবে।"
এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার পর, বেডিংহ্যাম পরবর্তী তিন বলে দুটি চার মেরে লাঞ্চ বিরতির সময় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২১ রানে পৌঁছে দেন (৫ উইকেটে)। শেষপর্যন্ত ১৩৮ রানে আউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।