স্যার ফ্র্যাঙ্ক ওরেলের নামে ট্রফি, অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বৈরথ। একটা সময় এই দুই দল মুখোমুখি হওয়া মানেই ছিল আগুনে লড়াই। এখন সেটা অনেকটাই পানসে। তবুও পুরনো কিছু ঝলক ফিরিয়ে নিয়ে আসে পুরনো স্মৃতি। অ্যাডিলেডে ৫ আর ব্রিসবেনে ৮ উইকেট নেওয়া শামার জোসেফ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া গিয়ে সিরিজ ড্র করে আসা এখনো স্বপ্ন দেখায় ক্যারিবিয়ানে। এবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, তারাও আহত সিংহ হয়েই এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে। নতুন চক্রের শুরুতেই কি দেখা যাবে পুরনো সেই আঁচ?
আজ বার্বাডোজে শুরু হচ্ছে ৩ টেস্টের সিরিজের প্রথমটি, যে সিরিজের শেষ ম্যাচটা কিংস্টনে হবে দিন-রাতের অর্থাৎ গোলাপি বলে। ইয়ান বিশপের ভাষায়, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটা চমকে দিতে পারে পেস বোলিং দিয়ে। আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ আর জেডন সিলস; এই ত্রয়ী কড়া পরীক্ষা নেবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের। বিশেষ করে চোটের জন্য স্টিভেন স্মিথের অনুপস্থিতি, মারনাস লাবুশেনের বাদ পড়া, জশ ইংলিসের টেস্ট দলে ফেরা, ইনিংসের সূচনায় স্যাম কনস্টাসকেই বিবেচনা আর তিনে ক্যামেরন গ্রিন, এটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুযোগ। নতুন টেস্ট অধিনায়ক রোস্টন চেজ। প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্করা কি লর্ডসের হারের রাগটা উইন্ডিজের নতুন মুখের ব্যাটিং ইউনিটের ওপরই ঝাড়বেন? টি-টোয়েন্টির ভাড়াটে ক্রিকেটারের জোগান দেওয়ার মাঝে এখনো যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ক্রিকেটটা খেলে যায়, তা বোধহয় এমন কিছু মুহূর্তের জন্যই।