শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

এ সপ্তাহের বিতর্ক— বইয়ের মেলাকেন্দ্রিকতা

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২০ পিএম

সাংস্কৃতিক উৎসব ‘বইমেলা’| ড. হারুন রশীদ

নবীন লেখকের প্রথম লেখাটিও ফেব্রুয়ারির বইমেলায় প্রকাশের অপেক্ষায় থাকে। একুশের মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনাই ফেব্রুয়ারিকেন্দ্রিক। এর মাধ্যমে তরুণ লেখকরাও একটি ভিত্তি পায়

বাংলা ঋতু পরিক্রমায় শীতের পরই বসন্তের আগমন। বসন্ত ঋতুর ফাগুন মাস আর ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ফেব্রুয়ারি চলে অনেকটা হাত ধরাধরি করে। ফেব্রুয়ারি মানেই বইমেলা। আর বইমেলা মানেই মাস জুড়ে সৃজনশীল বই প্রকাশনার মৌসুম। ‘মুক্তধারা’র স্বত্বাধিকারী চিত্তরঞ্জন সাহা যে মেলার বীজ বপন করেছিলেন, সেটি ফুলে-ফলে এখন এক বিরাট মহিরুহ। আজ এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও জাতিগত আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত এক জাতীয় মেলা। এর রূপ, রঙ, চরিত্র আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক চেতনার সমার্থক। কেননা বইমেলা প্রাঙ্গণে যারা সমবেত হন তারা শুধু বই কিনতেই আসেন না। আসেন সামাজিক দায় মেটানোর বোধ থেকেও।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে

 


বইমেলার বই অ-বই | রবিশঙ্কর মৈত্রী 

লেখককে নিশ্চয়ই একটু ধ্যানী হতে হয়, ভাবকে ভাবনার স্তরে নিয়ে যেতে হয় কিন্তু বইমেলার তাগাদা থাকলে লেখক ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তার চঞ্চলতা-উত্তেজনা লেখাকে প্রভাবিত করে। ফলে সুলেখা হয়ে ওঠে না হয়তো, বাক্য অসংলগ্ন থেকে যায়

‘মেলার বই’ বলে কিছু বইকে আলাদা করাই যায়। এ কেবল আমাদের দেশেই সম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে গত চার দশক ধরে। এক মেলার বই পরের বছরের মেলায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এক মেলার বই আরেক মেলায় পুরনো, বাতিল হয়ে যায়। আমরা নতুন বইয়ের খোঁজ করি। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে প্রকাশিত কটা বই পড়া হয়? পঠিত বইও কি পুরনো হয়ে যায়? বই কি খাদ্য? একবার গ্রাস করা খাবার যেমন দ্বিতীয়বার খাওয়া যায় না, বইও কি তাই? তবু আমি বইমেলার বইকে ‘অবই’ বলতে চাই না। মেলায় প্রকাশিত কিছু বইয়ে তাড়াহুড়োর ছাপ থাকে, অসম্পাদিত থেকে যায়, কোনো কোনো প্রকাশ-অযোগ্য বইও মেলায় চলে আসে। কিন্তু ঢালাওভাবে মেলায় প্রকাশিত সব বইকে বাতিল বাক্সে ফেলে দেওয়া যায় না। বইমেলা না থাকলে অনেক লেখকেরই বই প্রকাশিত হতো না। বইমেলাও মিলনমেলা, উৎসব। উৎসবে শামিল হতে কে না চায়? বই উৎসবে তাই বহু লেখক কবির মন চঞ্চল হয়ে ওঠে, উত্তেজিত হয়ে ওঠে, কারও কারও মনে প্রকাশের বাসনাও তীব্র হয়ে ওঠে। আবার মেলা শেষে সে-সব লেখক-কবি উৎসাহ উত্তেজনা হারিয়ে ফেলেন। নতুন লেখা কলমে আসতে আবারও দশ মাস অপেক্ষা করতে হয়।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত