বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়ের তালিকায় নিঃসন্দেহে ওপরের দিকে থাকবে চায়ের নাম। অনেকেই চায়ে চিনি মিশিয়ে খান। আবার স্বাস্থ্য সচেতন বা ডায়েট করেন যারা, তারা চিনি ছাড়াই চা পান করেন।
এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য চায়ে বিভিন্ন ধরনের মশলা, যেমন— গোলমরিচ, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি কিংবা তেজপাতাও দেওয়া হয়। সেসব মশলারও অনেক গুণও রয়েছে।
কিন্তু, চায়ে লবণ দিয়ে খেয়ে দেখেছেন কখনও? চায়ে লবণ দিয়ে খাওয়ার কথা এর আগে বোধ হয় অনেকেই শোনেননি। পুষ্টিবিদদের মতে, লবণ যে শুধু যে চায়ের স্বাদ বাড়িয়ে তোলার জন্য দেওয়া হয়, তা নয়। লবণেরও অনেক গুণ আছে।
লবণ চায়ের যত উপকারিতা
১. মৌসুম বদলের সময় সর্দি-কাশি তো লেগেই থাকে। পাশাপাশি এই সময়গুলোতে নানা রকম ভাইরাল রোগ-বালাই দেখা দেয়। এই সময়ে চায়ে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে কিন্তু উপকার পাবেন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এটা বেশ কাজে দেয়।
২. নতুন বছরে হরদম খানাপিনা করে বেশিরভাগেরই হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ঘন ঘন ওষুধ না খেয়ে চায়ে এক চিমটি লবণ দিয়ে খেতে পারেন। লবণ কিন্তু খাবার হজমে সাহায্য করে, এমন উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৩. গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে নানা রকম খণিজ বেরিয়ে যায়। শুধু পানি খেয়ে কিন্তু শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা যায় না। ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় লবণ ভালো কাজ দেয়। ঈষদুষ্ণ চায়ের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলেও কাজ হয়।
৪. সোডিয়ামকে শরীরে শক্তি দেওয়ার জন্য উপকারি মনে করা হয়। লবণ চা পানে শরীরে শক্তি অনুভূত হয় এবং দীর্ঘসময়ের জন্য ক্লান্তি অনুভূতি হয়না। এছাড়া সকাল সকাল লবণ চা পান করলে ক্ষুধা কম লাগে।
৫. লবণ চা পান করলে ঠান্ডা-সর্দি, কাশি, গলায় কফের সমস্যা দূর হয়। এক কাপ লবণ চা পান করলে গলায় জমে থাকা কফ বের হয়ে যায় এবং সর্দি থাকলে তাও কমে যায়।