গতরাতে প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচের ৪২ মিনিটে লিডে থাকাবস্থায় আবাহনীর খেলোয়াড়দের সঙ্গে অযথা মারামারিতে জড়িয়ে যান মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। মুহূর্তেই পরিস্থিতি বদলে যায়। যার ফলশ্রুতিতে আম্পায়ারের দেখানো কার্ডের সিদ্ধান্তে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় মোহামেডান।
বিদেশি আম্পায়াররা মোহামেডানের দুইজন ও আবাহিনীর একজন খেলোয়াড়কে লালকার্ড দেখালে তাদের জন্য প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর ‘রিফিউজড টু প্লে' শাস্তিস্বরূপ আবাহনীকে ৫-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
অথচ দারুণ একটা ম্যাচের ন্যাক্কারজনক পরিণতি টেনেও জয়োল্লাস করেছে মোহামেডানের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। খেলোয়াড়দের গলায় মালাও পড়িয়ে দেন অতি উৎসাহী কিছু সমর্থক। হকিতে কালীমা লেপে দেওয়ার পরও মোহামেডানের এমন নির্লজ্জ উদযাপন দেখে বিস্মিত হন সকলে।
মোহামেডানের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্সের বক্তব্য, ‘আমাদের দুজন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে এবং একজনকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। এ অবস্থায় আবাহনীর সঙ্গে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলা আমাদের জন্য অসম্ভব ছিল। তাই আমরা খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি। এরপর শেষ বাঁশি বাজার পর আমরা এগিয়ে থাকার কারণেই জয়োৎসব করেছি।’
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ মোহামেডানের এই দাবির বিপক্ষে দিয়েছেন পাল্টা যুক্তি, ‘মাঠের আম্পায়াররা ভিডিও রেফারেলের সুবিধা নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ অবস্থায় কোনো দলের নতুন ভিডিও রেফারেল চাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।’