ডালাস থেকে নিউ ইয়র্ক পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল। রবিবার সকালে সবার গন্তব্য যখন আইজেনহাওয়ার পার্ক, তখন বাংলাদেশ দল যাবে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাইল তফাতে ক্যান্টিয়াগ পার্কে। সেখানেই অনুশীলনের বন্দোবস্ত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে মাসের গোড়ায়, তবে আজকের দিনটায় এসে মনে হচ্ছে অবশেষে বিশ্বকাপের জ্বর ছুঁয়েছে ‘দ্যা বিগ অ্যাপল’ অর্থাৎ নিউ ইয়র্কেও। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে সব রথী-মহারথীরা হাজির। শচিন টেন্ডুলকারও চলে এসেছেন, আসরের দূত যুবরাজ সিংহ তো আগে থেকেই ছিলেন। ডেল স্টেইনকে চিনতে না পারা এক স্বেচ্ছাসেবক ‘ক্রিকেট এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’-এ তাকে শিখিয়েছেন কীভাবে পেস বোলিং করতে হয়! ওদিকে নিরাপত্তারও কড়াকড়ি। এ সবের অন্তরালেই চলে গেছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ। সেটা হওয়ারই কথা। আইসিসির সবচেয়ে বেশি রাজস্ব যে আসে পাক-ভারত ম্যাচ থেকেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা সূচিতে রেখেছে ঐচ্ছিক অনুশীলন। নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে এটা দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় ম্যাচ, আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বেশ ভুগতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। পরপর দুটো বিশ্বকাপে ডাচরা হারিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়াদের, শনিবারে আশঙ্কা জাগলেও সেটা হয়নি ডেভিড মিলারের কল্যাণে। তবে মিলারের যে ‘কিলার’ রূপ দেখে সবাই অভ্যস্ত, তার পুরো বিপরীতধর্মী ইনিংসই খেলেছেন তিনি, তার ৫১ বলে ৫৯* রানের ইনিংসটা না হলে হয়তো বিশ্বকাপে কমলা হারের হ্যাটট্রিক হতো। বাংলাদেশের জন্য সুখবর এই যে, এখন পর্যন্ত ঠিক রূদ্ররূপে মেলে ধরতে পারেননি হেইনরিখ ক্লাসেন। আইপিএলে বিধ্বংসী ইনিংসের প্রতীক হয়ে ওঠা ক্লাসেন এখনো যুক্তরাষ্ট্রে এসে ছন্দ খুঁজে ফিরছেন, সবশেষ ম্যাচে মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে দলের বিপদ বাড়িয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এইডেন মার্করাম। প্রশ্নের জবাবে যে কথা বলেছেন, সেটা আহমেদাবাদে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে বলেছিলেন প্যাট কামিন্স, স্তব্ধ করে দিতে চান নিউ ইয়র্কের স্টেডিয়াম, ‘হ্যাঁ, জানি মাঠে বাংলাদেশের অনেক সমর্থন থাকবে। আসলে এটা আমাদের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছে, মোটামুটি ব্যাপারটা আমাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা শুধু বাউন্ডারি সীমানার ভেতরে কী হচ্ছে সেদিকেই মনোযোগ দেব। তারা (গ্যালারির বাংলাদেশি সমর্থক) যদি চুপচাপ থাকে, তার মানে আমরা বেশ ভালো করছি। আমরা এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেব আর ভালো খেলে খেলে ওদের চুপ রাখতে চাইব।’