মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ডুবে গেছে বাড়ি

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩২ এএম

বন্যায় পানিবন্দি প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। কেউ কেউ তাদের স্বজনদের খোঁজ পাচ্ছেন না আবার কারও বাড়ি ডুবে গেছে পানিতে। জীবনের ৩০ বছর ফেনী শহরে কেটেছে নির্মাতা শিহাব শাহীনের। তার বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। তবে নোয়খালী সদরের সোনাপুর এলাকায় তার খালার বাড়ির নিচতলায় বন্যার পানি ঢুকেছে। আত্মীয়-স্বজন খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে এখন আর যোগাযোগ করতে পারছেন না শিহাব শাহীন। বললেন, ‘আমাদের ফেনীর বাড়িতে কেউ থাকেন না। তবে বাড়িটা ডুবে গেছে। নোয়াখালীতে আমার খালার বাড়ির নিচতলায় পানি উঠে গেছে। সেখানকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত তারা নিরাপদে আছেন। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। আত্মীয়-স্বজন কারও নম্বরে যোগাযোগ করতে পারছি না। এত পানি ফেনীর মানুষ কখনো দেখেনি। এই প্রজন্ম তো দূরে, আমরাও দেখিনি।’ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক মাহফুজ আহমেদের গ্রামের বাড়ি। বন্যায় তার গ্রামের বাড়ির ওঠানে এখন পানি। কয়েক দিন ধরে এই অবস্থা। এখনো সবার খোঁজখবর রাখতে পারছেন। মাহফুজ মনে করছেন, আরেকটা ধাক্কা এলেই ঘরে পানি ঢুকে পড়বে। বললেন, ‘চৌমুহনী, নোয়াখালী, ফেনী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়ার দিকে যেভাবে পানির ঢল এসেছে, আমাদের এ দিকটায় তা আসে নাই এখনো। ঘরে পানি ওঠা বাকি আছে কেবল। ঢলের পানি যদি আসে, তাহলে ঘরেও ঢুকে যাবে।’ মাহফুজ আহমেদ ঢাকা আর সিডনি মিলিয়ে থাকলেও সময়-সুযোগ পেলেই ছুটে যান রামগঞ্জে। মা আর ভাই সেখানেই থাকেন। মাহফুজের মতে, আমার সবকিছু ওখানে।

মুমতাহিনা টয়ার বেড়ে ওঠা রাঙ্গামাটিতে, তার দাদা ও নানাবাড়ি নোয়াখালী। তার আত্মীয়-স্বজনের প্রায় ৬০ শতাংশ সেখানে থাকেন। অভিনেত্রী জানালেন, তার দুই খালার বাড়ি অর্ধেক ডুবে গেছে। তারা আপাতত তার মামার বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন। টয়া বললেন, খবর পেলাম, আমার ফুফুর বাড়িও প্রায় অর্ধেক ডুবে গেছে। এখান থেকে আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে সেখানে কিছু টিম কাজ করছে। এই অঞ্চলে উদ্ধারের পাশাপাশি ত্রাণের প্রয়োজন। আমার দাদাবাড়িতে স্কুল-মাদ্রাসা আছে, সেখানে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য খাবার পাঠানোর চেষ্টা করছি।

এদিকে জামিল হোসেনের গ্রামের বাড়ি মাইজদী শহরের বাবুনগরের হাসানহাট এলাকায়। বন্যায় তার গ্রামের বাড়িতেও পানি ঢুকেছে। জানালেন, ঘরে তার কোমর সমান পানি। বন্যার ভয়াবহতা টের পেয়ে বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যরা শহরের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।

ফেনী শহরের নাজির রোডে রেলগেটের পাশে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের বাড়ি। ওখানে ভাই ও তার পরিবার থাকে। মা ঢাকা আর ফেনী মিলিয়ে থাকেন, এবার বন্যা শুরুর কয়েক দিন আগে তিনি ঢাকায় এসেছেন। বন্যায় তাদের বাড়ির গ্যারেজে পানি ঢুকেছে বলে জানালেন সেলিম।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত