আমরা ছোটবেলায় মগের মুল্লুকের কথা অনেক শুনেছি, পরে পাঠ্যবইয়ে প্রবচন হিসেবেও এটা পড়েছি। এর অর্থ পরিষ্কার; জোর যার মুল্লুক তার। আরাকানি জলদস্যু মগরা সুজলা-সুফলা বাংলায় মাঝেমধ্যেই লুটপাটের জন্য অভিযান চালাত। বাংলার মোগল সুবেদারদের অধিকাংশই ছিল আফগান বংশোদ্ভূত; স্থলপথের যোদ্ধা। পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা জয়যুক্ত হয়ে দিল্লির মসনদ দখল করলেও জলপথের যুদ্ধে তারা ছিলেন অর্বাচীন, নৌযুদ্ধে মগদের সঙ্গে পেরে উঠতেন না। এই সুযোগে মগরা বাংলায় সুলতানি আমল পর্যন্ত মাঝেমধ্যেই লুটপাট ও অত্যাচার চালিয়েছে। বঙ্গবাসী কখনো এই অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিকার পায়নি। তাই এখনো যখন কোনো বলবান দুর্বলের ওপর প্রতিকারবিহীন অত্যাচার চালায়, তখন সে অবস্থাটাকে মগের মুল্লুুক বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
অনেকের অভিযোগ এখন দেশে মগ না, মবের মুল্লুক শুরু হয়েছে, যার ইংরেজি নাম মব ভায়োলেন্স। এটাকে বাংলায় ব্যাখ্যা করা যায় উন্মত্ত জনতার অবিচার হিসেবে, যেমন গণপিটুনি। এটা করা হয় কোনো একটা অনুভূত অন্যায়ের প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার না করে তৎক্ষণাৎ আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে। সামাজিক অসহিষ্ণুতা, অকার্যকর আইনিব্যবস্থা, ক্রমবর্ধমান হতাশা, বিচারে দীর্ঘসূত্রতা, সামাজিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, প্রতিশোধস্পৃহা প্রভৃতি কারণে মব-এর ক্ষেত্র তৈরি হয়। এটা আগেও যে ছিল না, তা নয়। তবে বিগত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও অবাধ স্বাধীনতার বাতাবরণে পুঞ্জীভূত আবেগের বিস্ফোরণ ঘটায় এটা বেড়ে গেছে। আইনের কঠোর প্রয়োগে বর্তমান সরকারের শিথিলতাও এক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। বিবিসি বাংলা জানায়, গত ৫ আগস্টের পর সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনিতে অন্তত ২১ জন মানুষ নিহত হয়েছে (২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, দেশ রূপান্তর)। এরপর আরও অপরাধের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। এসব ক্রমবর্ধমান অপরাধ প্রবণতা দমনে বিগত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় অপারেশন ডেভিল হান্ট। ধারণা করা হয়েছিল যে, এতে ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, ধর্ষণের ঘটনা কমে আসবে। এক মাস পার হয়ে গেছে, অনেক লোককে আটকও করা হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন আগে খোদ ঢাকা মহানগরী হয়ে পড়েছিল এক আতঙ্কের শহর। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করতে হয়েছে। গুলি করে সোনা লুট, ছিনতাইকারী সন্দেহে মানুষ মেরে ঝুলিয়ে রাখা, গাছ কেটে ২০ বাসে ডাকাতি, গণধর্ষণ প্রভৃতি হৃদকম্প সৃষ্টিকারী সংবাদগুলোর একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ।
স্বৈরাচার পতনের পর ভেবেছিলাম দানব শেখদের নাম আর কিছু দিন শোনা যাবে না। কিন্তু সেদিন প্রথম আলোতে (৪ মার্চ, ২০২৫) দেখলাম কুমারখালীর এক শেখ রাসেল ঘোষণা করেছেন যে, ‘পুলিশকে অ্যারেস্ট করতে হলে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে’। আবার কিশোরগঞ্জের এক শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন যে, ‘স্বৈরাচার যেসব সম্পদ ভোগদখল করেছে, এখন সেসব তাদের নেতাকর্মীরা সবাই মিলে ভোগদখল করবেন। বিগত ৪ মার্চ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের এমপি তানভীর ইমামের গুলশান ২-এর বাসায় মধ্যরাতে এক দল লোক অননুমোদিতভাবে তল্লাশি চালায়। তবে এগুলোর অধিকাংশই ঘটেছে রাজপথে। কিন্তু এখন এটার অনুপ্রবেশ অফিস অঙ্গন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়ে পড়েছে। বিগত ৫ মার্চ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন সংস্থাটির কতিপয় শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তারা একজোট হয়ে জোরপূর্বক বোর্ড রুমে ঢুকে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের জিম্মি করে, মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে, সিসি কামেরা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, নামফলক তুলে ফেলে এক ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে ফিরিয়ে আনা, বিতর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কারণ-দর্শানো নোটিস বন্ধ করা এবং জারিকৃত কারণ দর্শানো নোটিসগুলো প্রত্যাহার করা। জানা যায় যে, নানা অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসি ১২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির অনিয়ম তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে যে ৭টি তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্ত হয়, তার ভিত্তিতে ১৫ জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আর নানা অভিযোগ থাকায় এবং ২৫ বছর চাকরিকাল পূর্ণ হওয়ায় বিধি মোতাবেক কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বিগত ৪ মার্চ অবসর প্রদান করা হয়। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য হলো, তদন্ত প্রতিবেদনগুলো বিতর্কিত; তদন্ত কমিটিতে কিছু বিতর্কিত সদস্য ছিলেন। বর্তমান বিএসইসিকে অন্তত পক্ষে এ কারণে ধন্যবাদ দেওয়া যায় যে, তারা কিছু অভিযোগের তদন্ত শেষ করেছে এবং তার ওপর কার্যক্রম গ্রহণ শুরু করে দিয়েছে। এদেশে তদন্তই শুরু করা কঠিন; তদন্ত অনুষ্ঠানের ওপরই চলে নিষেধাজ্ঞা। আর বিএসইসির আন্দোলনকারীদের বলব যে, শোকজ নোটিসে আপনারা ভীত কেন, এটা তো কোনো শাস্তি নয়? দোষ না থাকলে নম্র ও দৃঢ়ভাষায় জবাব দিয়ে দিন। আপনাকে আটকায় কে? আর তদন্ত প্রতিবেদন বিতর্কিত হলে আপনার জন্য সেটা বাড়তি সুবিধা; বিতর্কের ফাঁক দিয়ে আপনি বেরিয়ে যেতে পারবেন। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বকে ১০০ বিজ্ঞানী ভুল বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন। আইনস্টাইন বলেছিলেন অত লোকের দরকার কী, একজন এসে ভুলটা ধরিয়ে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। আর ২৫ বছরপূর্তিতে যে নির্বাহী পরিচালকের চাকরি হরণ করা হয়েছে, তার জন্য আদালতের দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে। জবরদস্তি করলে জনমনে তাদের উদ্দেশ্যের সততা নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হবে।
বাংলাদেশর মতো ছোট্ট এই ভূখণ্ডে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মানুষের বাস। এখনো প্রতিবছর প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ তার সঙ্গে জন্মসূত্রে যুক্ত হচ্ছে। নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা ৬ মিলিয়ন। তার মানে আমরা প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর দেশে একটা করে সিঙ্গাপুর জন্ম দিচ্ছি; এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এদেশ সিঙ্গাপুরের জনঘনত্ব অর্জন করে ফেলবে ঠিকই, কিন্তু জীবনমান নয়। প্রাকৃতিক সম্পদশূন্য সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথাপিছু আয়ের দেশ হতে পেরেছে মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে। সেটা সম্ভব হয়েছে তাদের সঠিক উন্নয়ন দর্শন গ্রহণ, কঠোর পরিশ্রম, অলঙ্ঘনীয় শৃঙ্খলা প্রবর্তন, ন্যায্য শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনয়নের মাধ্যমে। সিঙ্গাপুর ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীন দেশে প্রেসিডেন্ট লি কুয়ান ইউ অন্যদের মধ্যে শ্রমিকদের কাজের মান ও পরিমাণ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন; তত্ত্বাবধান, শৃঙ্খলা ও মান যার ভিত্তি। তার নীতি ছিল ব্যয়িত সময়ের ভিত্তিতে নয়, মজুরি প্রদানযোগ্য হবে কাজের ভিত্তিতে। আগে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কার্যদিবসে কাজ না করে ফেলে রাখত, যাতে ছুটির দিনে ওভারটাইমে তিনগুণ হারে সে কাজ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত সরকারি শ্রমিকদের ইউনিয়নের নেতা ছিলেন কে সুপ্পিয়াহ নামের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে সরকারের সঙ্গে উপনীত এক ঐকমত্য অনুযায়ী তিনি তখন তার ইউনিয়নভুক্ত পনের হাজার শ্রমিকের জন্য দৈনিক এক ডলার করে বর্ধিত মজুরি আদায়ে ধর্মঘট করে বসেন। প্রেসিডেন্ট পরের বাজেট পর্যন্ত সময় চান। এই একগুঁয়ে শ্রমিক নেতা ধর্মঘট আহ্বান করে নববর্ষের উৎসবের ঠিক আগের দিন নগরীর পরিচ্ছন্নতাকর্ম ব্যাহত করেন। তাদের চাকরি অত্যাবশ্যক ঘোষণা করে ধর্মঘট অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তারপরও ধর্মঘট প্রত্যাহার না করায় সুপ্পিয়াহসহ ইউনিয়নের ১৪ জন নেতাকে প্রেসিডেন্ট লি গ্রেপ্তার করেন। অথচ স্বাধীনতার আগে এই সুপ্পিয়াহ ছিলেন তার স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সাথী।
সিঙ্গাপুরে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক নির্ধারণে এই ঘটনাটি ছিল একটি সন্ধিক্ষণ। সেখানে ১৯৬১ সালের জুলাই থেকে ১৯৬২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে রেকর্ড ১৫৩টি ধর্মঘট সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৯৬৯ সালে কোনোই ধর্মঘট হয়নি। প্রেসিডেন্ট লি’র সময়োচিত দৃঢ় পদক্ষেপ ছিল এ পরিস্থিতি উন্নতির অন্যতম একটি কারণ (From Third World To First, Memoirs of Lee Kuan Yew। এদেশকে সিঙ্গাপুরের মতো না হলেও উন্নতির সুযোগ আছে। এ দেশের মানুষ পরিশ্রমী ও শিখতে আগ্রহী। তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা দরকার। এজন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ প্রয়োজন; দরকার দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের মেলবন্ধন। কিন্তু ব্যাংক ব্যবস্থা স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ করতে সক্ষম হলেও মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে অপারগ; কারণ, তারা স্বল্পমেয়াদি আমানত গ্রহণ করে। তাছাড়া, বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর খেলাপি ঋণের ভারে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে।
এখন দেশে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের একটি দ্বারই খোলা রয়েছে, আর সেটা হলো পুঁজিবাজার। পশ্চিমা বিশ্বে পুঁজিবাজার হলো বিনিয়োগের প্রধান বাহন। দেশের সদর ও প্রত্যন্ত প্রান্তর সর্বত্র জমে থাকা ছোট-বড় পুঁজি এই বাজারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ হয়। অথচ ১৯৫৬ সালে লেনদেন শুরু করা দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জ এখনো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। এটা এখন হয়ে পড়েছে একটি জুয়ার বাজার; মাৎস্যায়ন প্রক্রিয়ায় এখানে বড় বড় মাছ নানা কারসাজিতে ছোট ছোট মাছকে গিলে খাচ্ছে। আইপিও আনার সময় প্রচুর রেকর্ডপত্র ও সময় নেওয়া হয়, কাগজে-কলমে কোম্পানির বুনিয়াদ শেরের মতো শক্ত দেখায়, কিন্তু একবার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়ে যাওয়ার পর তার মূষিকে প্রত্যাবর্তন ঘটে। কোথায়ও কোনো স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ব্যবস্থা ও সুশাসনের লেশমাত্র নেই। ফলে অমিত সম্ভবনাময় এই বাহনটি অবস্থা লেজে-গোবরে। স্বৈরাচার পতনের পর স্বাভাবিকভাবেই আশা করা হয়েছিল যে, এখানে অবস্থার পরিবর্তন হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এর আগে যারা কর্ণধার হয়েছিলেন, তাদের নিয়ে বাজারে অযুত অভিযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও তারা তৎকালীন সরকারের প্রিয়ভাজন ছিলেন; পেয়েছিলেন একাধিকবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। অভিযোগ আছে, শেষের জন পালিয়ে থাকা অবস্থায়ও তার এক পছন্দের কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এক দূর-আদেশ জারি করেন। এজন্য বলা হতো যে, সরষের মধ্যে অর্থাৎ কমিশনের মধ্যে ভূত রয়েছে। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এখন এই প্রতিষ্ঠানটির উচিত অতীতের যাবতীয় জঞ্জাল ধুয়ে মুছে নিজের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি গড়ে তোলা। তাতে তাদের যেমন লাভ হবে, তেমনি দেশেরও সমৃদ্ধি আসবে। এই পটভূমিতেই বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের নিয়োগ। তিনি ইতিমধ্যে বেশ কিছু বাজার কারসাজির হোতাদের কোটি কোটি টাকা জরিমানা করে স্বচ্ছতা আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এসবের কার্যকারিতা ও প্রভাব নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি। সম্প্রতি তার কথাবার্তায় মনে হচ্ছে যে, তিনি শক্ত ধাতুতেই গড়া; সহযোগিতা ও সমর্থন পেলে উতরে যেতে পারেন। তবে তাকে আরও কুশলী হতে হবে। বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন; অর্থ ব্যবস্থাপনায় তিনি একজন ভুয়োদর্শী মানুষ। তাদের নেতৃত্বে আইনের কঠোর প্রয়োগে পুঁজিবাজারে শুভ সন্ধিক্ষণ ঘটবে, আসবে শৃঙ্খলা এটা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
লেখক: সাবেক মহাপরিচালক, খাদ্য অধিদপ্তর ও কলামিস্ট