বরগুনায় স্কুলছাত্রী মেয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করার কয়েক দিন পর লাশ উদ্ধার হওয়া মন্টু দাসের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে মন্টু দাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তারেক রহমান ভুক্তভোগী পরিবারটিকে ন্যায়বিচার পেতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া পরিবারটিকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে বিএনপি সবসময় পাশে থাকবে বলেও জানান।
এ ছাড়া তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মন্টু দাসের পরিবারকে উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান এবং বরগুনা জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় মন্টু দাসের স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি মন্টু দাসের স্ত্রীকে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শুনেছি। আপনাদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার জন্য বিএনপি পাশে আছে এবং সব আইনি লড়াইয়ে দলীয় আইনজীবীরা সহায়তা করবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে আপনারা ন্যায়বিচার পান।’
তার স্কুলছাত্রী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে গত ৫ মার্চ বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন মন্টু চন্দ্র দাস। ওইদিনই পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১২ মার্চ ওই মামলার শুনানির দিন ছিল, তবে তার আগের দিন রাতে বাড়ির পেছন থেকে মামলার বাদী মন্টুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মন্টুর পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
নিহত মন্টু চন্দ্র দাস ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, ফলে তার মৃত্যুতে পরিবারটি চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।