সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে- এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যে ভোটাধিকারের জন্য ১৫ থেকে ১৬ বছর সংগ্রাম করেছেন, সেই ভোটাধিকার কেন বিলম্বিত হচ্ছে? সেটা নিয়ে কেন এত কথা হচ্ছে? কেন নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিকল্প হিসেবে সংস্কারকে দাঁড় করানো হচ্ছে?
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে হওয়া রাজনৈতিক মামলাগুলো এখনো প্রত্যাহার না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এখনো ৬০ লাখ মামলা। অন্তর্বর্তী সরকার এসব মামলা তো প্রত্যাহার করতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। বিএনপির কর্মীদের আজও কেন আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়াতে হবে?
রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবদানকে আমরা স্বীকার করি। তাদের আমরা সম্মান করি। কিন্তু যদি এ রকম হয় যে তাদের কথায় প্রশাসন চলবে, সব সরকারি কর্মকাণ্ড হবে এটাকে বলে নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্য কেন হবে? ডিসি-এসপিরা বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বলে গেছেন, এভাবে করা যাবে না। তাহলে জনপ্রশাসন কেন?
বিভিন্ন ঘটনায় মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ফ্যাসিবাদের দোসররা অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু আমরা জেনেছি বিএনপির গন্ধ পেলেই প্রশাসন থেকে সঙ্গে সঙ্গে তাদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তার মানে কোনো বিশেষ এজেন্ডার মধ্য দিয়ে এই সরকার চলছে কিনা? এটাই আজকে মানুষের কাছে বড় প্রশ্ন। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।
দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক সরাফত আলী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ‘নিখোঁজ’ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা প্রমুখ।