নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুনের আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবী ও নিহতের স্বজনরা। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় মানববন্ধনে অংশ নেন দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের আইনজীবীরা।
এসময় সংহতি জানিয়ে নিহতের স্বজন ও ছাত্র জনতা মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় বক্তব্য দেন ৭ খুনে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সরকার হুমায়ন কবির প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া আইনজীবী ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবাররের স্বজনরা বলেন, ১১ বছর পার হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়ায় খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ও বিচার বিভাগের কাছে আবেদন দ্রুত মামলাটি নিস্পত্তির মাধ্যমে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালিন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ৩০ এপ্রিল বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে একে একে ভেসে উঠে তাদের পেট কাটা, ২৪ টি ইট বাঁধা মরদেহ।
২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব ১১ এর তৎকালিন অধিনায়ক তারেক সাঈদ, অপর দুই কর্মকর্তা মেজর আরিফ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানা সহ ২৬ জনের মৃতুদন্ডাদেশ দেন। ২০১৮ সালের আগস্টে হাইকোর্ট ১৫ আসামির মৃতুদন্ড বহাল রেখে বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড দেন। এ রায়ের পর আসাসিরা আপীল করলেও তা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।