ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম হজ। ইবাদত হিসেবে হজের গুরুত্ব অনেক। হজ একই সঙ্গে আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। তাই আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর হজ করা ফরজ। হজ পালনে যেমন অনেক ফজিলত রয়েছে তেমনি সামর্থ্য থাকার পরও ফরজ হজ পালন না করলে রয়েছে কঠিন ধমকি।
সামর্থ্য থাকার পরও হজ না করার পরিণাম ভয়াবহ। ফরজ হজ ত্যাগ করলে ইহুদি-নাসারার মতো মৃত্যু হবে বলে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হজ ফরজ হওয়ার পর তা আদায় না করে মৃত্যুবরণ করা ইহুদি বা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করার নামান্তর।’ (তিরমিজি)
হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ করে না, সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খ্রিস্টান হয়ে, তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই।’ (ইবনে কাসির)
আর কেউ যদি হজ অস্বীকার করে বা কোনো ধরনের অবহেলা প্রদর্শন করে তবে সে আল্লাহর জিম্মার বাইরে বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশে এ গৃহের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে, তাহলে জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহতায়ালা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ৯৭)
তাই যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে তাদের উচিত হলো বিলম্ব না করে দ্রুত ফরজ হজ আদায় করে ফেলা। অনেকেই মনে করেন, বৃদ্ধাবস্থায় হজ আদায় করবেন। পরে দেখা যায়, তিনি আর শারীরিকভাবে সক্ষম থাকেন না কিংবা হজ পালন করার আগেই মৃত্যুবরণ করেন। তাই শেষ জীবনের ভরসায় না থেকে হজ ফরজ হলে দ্রুত আদায় করা ফেলা বাঞ্ছনীয়।