গত রবিবার (১ জুন) জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪৯তম হজবিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা (হজ সিম্পোজিয়াম)। এতে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলেম, বুদ্ধিজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন। বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের আলোকে হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়, সিনিয়র স্কলার্স কাউন্সিল এবং কিং আবদুল আজিজ ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অ্যান্ড আর্কাইভসের যৌথ আয়োজনে এবারের সিম্পোজিয়ামের শিরোনাম ছিল, ‘হজের সামর্থ্য ও সমসাময়িক পরিবর্তন’।
গত চার দশক ধরে ‘হজ সিম্পোজিয়াম’ হজবিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক ও ধর্মীয় সংলাপের অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। সিম্পোজিয়ামের আলোচনায় ইসলামি শিক্ষার মূল ভিত্তিকে আধুনিক হজ ব্যবস্থাপনার বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলতে গুরুত্বারোপ করা হয়। সেখানে বলা হয় প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও যাতায়াত, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে যেসব রূপান্তর এসেছে, তা হজের প্রতিটি পর্যায়েই প্রভাব ফেলেছে।
হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ বলেন, ‘এবারের হজ প্রস্তুতি সৌদি ভিশন ২০৩০ এবং আল্লাহর অতিথিদের সেবা কর্মসূচির লক্ষ্য অনুযায়ী সমন্বিতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ সালে হাজিদের সন্তুষ্টির হার ছিল ৭৪ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয়েছে ৮১ শতাংশ। এবারের হজে প্রস্তুতির হার শনিবার পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশ, যা গত বছরের ৮১ শতাংশের তুলনায় বেশি। আমরা ডিজিটাল হজ অভিজ্ঞতা উন্নয়নে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাজিদের যাত্রা সহজ, নিরাপদ ও আরামদায়ক করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।’
সৌদি সরকারের উদ্যোগে ১ লাখ ৭০ হাজার বর্গমিটার ছায়াযুক্ত এলাকা, ২০ হাজার গাছ রোপণ এবং রাবারযুক্ত পথ নির্মাণসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হয়েছে নতুন একটি জরুরি হাসপাতাল, ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ইউনিট, ৭১টি হেল্প সেন্টার এবং ৬৪টি দোতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান বলেন, ‘হজযাত্রীদের সেবা করা এ জাতির নেতৃত্বের জন্য এক পবিত্র দায়িত্ব, যা যুগে যুগে শ্রদ্ধাভরে পালন করা হয়েছে। বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশাল অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যা হাজিদের আগমন থেকে শুরু করে বিদায় পর্যন্ত সুসংগত সেবা নিশ্চিত করে।’