প্যাঁচ থাকুক আর না-ই থাকুক জিলাপির স্বাদ নিয়ে দ্বিমত নেই কারোরই। জিলাপি পছন্দ করেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। কেননা রসে ভরা গরম গরম এ মিষ্টান্ন কমবেশি সবারই পছন্দ। সকালের নাশতা কিংবা মিষ্টি মুখ, সব জায়গায় জিলাপি বেশ জনপ্রিয়।
সুস্বাদু জিলাপি রোগ নিরাময়ে বেশ উপকারী। গরম জিলাপি যেমন মাইগ্রেনের সমস্যা সারাতে পারে ঠিক তেমনি মানসিক চাপও দূর করতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নিই আড়াই প্যাঁচের জিলাপির গুণাগুণ-
* যাদের জন্ডিস আছে তারা প্রতিদিন দুইটি জিলাপি খেতে পারেন। খালি পেটে খেলে বেশ উপকার পাবেন।
* তীব্র মাইগ্রেনের ব্যথা থাকলে জিলাপি আপনার জন্য মহৌষধ। সকালে দুধের সঙ্গে জিলাপি খান। যেকোনো ধরনের মাথাব্যথা থেকে নিরাময় পাবেন। স্ন্যাক হিসেবেও দুধের সঙ্গে জিলাপি খেতে পারেন। তাতেও মাইগ্রেনের উপকার পাবেন।
* যখন আপনি টেনশন বা স্ট্রেসে থাকবেন, তখন টাটকা জিলাপি খান। এর মাধুর্য আপনার মনকে হালকা করবে এবং এটি খেলে উদ্বেগ-মানসিক চাপও চলে যায়। এটি স্ট্রেস হরমোন কমায়। এজন্য বয়স্করা এখনো পরীক্ষার আগে বা কোন শুভ কাজের আগে শিশুদের দুধ, জিলাপি বা দই খাওয়ান।
* অনেক মানুষ স্থূলতায় ভুগছেন, আবার এমন অনেক তরুণ আছেন যারা অনেক কিছু খেয়েও ওজন বাড়াতে পারছেন না। তারা খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে পারেন জিলাপি। জিলাপিতে মিষ্টি খাবার ও ক্যালোরি আছে তাই এটি ওজন বাড়াতে সহায়ক। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে দেশি ঘিয়ে ভাজা জিলাপি খেলে আপনার ওজন দ্রুত বাড়বে।
* সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় আমরা প্রায়ই দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপে ভোগী। মজার ব্যাপার হলো, ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর করে টাটকা জিলাপি। টাটকা জিলাপির স্বাদ আপনার মনকে হালকা করবে। উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমবে।
এক টুকরা জিলাপিতে যা আছে
ফ্যাট ২.২ গ্রাম, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৫.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.৫ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩.৬ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ০.৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ২০.৭ মাইক্রোগ্রাম।